মঙ্গলবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম থাকবে না: ইসি রাশেদা
উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম থাকবে না: ইসি রাশেদা
# সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচারের আহ্বান
# অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইসি
# অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির সংসদ সদস্যদের ছেড়ে দেয়া ৫ শূন্য আসনগুলোর উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এসব নির্বাচনে বাজেট সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ শূন্য আসনের উপনির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য সংবাদ প্রচার করবেন। কেননা আপনাদের চোখই সিসি ক্যামেরা। আপনারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করলেই সাধারণ মানুষ সত্যটা জানতে পারবেন।’
বগুড়ার দুই শূন্য আসনে ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় ইসি। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে বা কোন ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোন দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চায়, তাহলে ইসির কিছুই করার থাকবে না। সংবিধান অনুযায়ী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’
মতবিনিময় সভায় বগুড়া জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান, কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেরিনা আফরোজ ও নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে দলটির নেতারা সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেয় বিএনপি। পরদিনই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে একজন সাংসদ হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠানোয় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। এরপর ওইদিন রাতেই বাকি ছয়জনের নাম (জাহিদুর রহমান, মো. মোশারফ হোসেন, জি এম সিরাজ, মো. আমিনুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ভূঞা ও রুমিন ফারহানা) উল্লেখ করে আলাদা গেজেট প্রকাশ করা হয়। এরপর তাদের ছেড়ে দেয়া একাদশ সংসদের ওইসব আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের কোন আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসনে উপ-নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিষয়: #উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম থাকবে না: ইসি রাশেদা