শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
সোমবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ইভিএম ব্যবহার ৫০ থেকে ৭০ আসনে: ইসি রাশেদা
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ইভিএম ব্যবহার ৫০ থেকে ৭০ আসনে: ইসি রাশেদা
২৬৫ বার পঠিত
সোমবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ইভিএম ব্যবহার ৫০ থেকে ৭০ আসনে: ইসি রাশেদা

---

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
——
* সংসদের ভোটে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে চায় ইসি
* ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিখোঁজ প্রার্থীকে খুঁজতে ইসির তদন্ত কমিটি
——

বিশেষ প্রতিনিধি
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৭০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ইসির হাতে থাকা কতটি মেশিন ব্যবহার উপযোগী আছে তার ওপর ভিত্তি করে আসন সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে। গতকাল সোমবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান।
ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে চাই। তবে কতগুলো আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা সম্ভব হবে সে বিষয়টি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ প্রার্থীর সন্ধান ও ঘটনার তথ্য উদ্ঘাটনে ইসির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
রাশেদা সুলতানা জানান, সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে ২ লাখ নতুন মেশিন কেনার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্প নিতে সরকারকে প্রস্তাব করেছিল ইসি। তবে গত ২২ জানুয়ারি আর্থিক সংকটের কারণে সেই প্রকল্প প্রস্তাব আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এক্ষেত্রে চলমান ইভিএম প্রকল্প দিয়েই যতটা সম্ভব আসনে ভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে কতগুলো আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করার যাবে তা এখনো ইসি নির্ধারণ করতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের হাতে যে সকল ইভিএম আছে, তা দিয়েই ভোট করবো, করবো না এটা কখনো বলিনি। এখনো অনেক সময় আছে, দেখা যাক বর্তমানে কতগুলো ইভিএম ভাল আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো দিয়ে ৫০ থেকে ৭০টি আসনে ভোট করা সম্ভব হতে পারে।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বে নির্বাচন কমিশন দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে। সেই মেশিনগুলো দিয়েই বিগত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু কিুছ মেশিন অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। সেগুলোর মধ্যে বেশকিছু রিপেয়ারিং করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আগামী সংসদের নির্বাচনের জন্য কতগুলো ব্যবহার করা যাবে তাও পরীক্ষা করে দেখছে কমিশন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনের সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহের কথা জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা দিয়ে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে করেছি। তার রেজাল্ট ইফেক্টিভ। সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হলে নির্বাচন কমিশন এবং ভোটার- সবার জন্যই ভালো হয়। আমরা চাই সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে। তবে অর্থনীতি এখানে বড় জিনিস। কারণ ওই বিষয় দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমরা চাইবো যেটা ভোটারদের জন্য ভালো হয়। সব মিলিয়ে সর্বোপরি ভালো হয়। আমরা তো চাইবো ভালোটার দিকে, খারাপের দিকে যেতে চাইবো না। এ বিষয়ে কমিশন নিজে কিছুই করতে পারবে না। সবকিছু মিলিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি যদি পারমিট করে আমরা অবশ্যই করবো। তা না-হলে তো আমরা আসলে কিছু বলতে পারছি না।’
---
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থীর খোঁজে ইসির কমিটি
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নিখোঁজ নেতা আবু আসিফের অনুসন্ধানে  এবং ঘটনার সত্য উদঘাটনে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে সোমবার নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, ‘আবু আসিফ নিখোঁজের ঘটনায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক। তারপর কি হবে দেখা যাবে এই ঘটনাটা আসলে কী? সত্যতা কতটুকু।’
কমিশন ওখানকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব তাকে উদ্ধার করতে। ওনাকে তারা উদ্ধার করতে পারবে না- এটা আমরা বিশ্বাস করি না। যদি সেটা নির্বাচনের আগেই সম্ভব হয়, তাহলে ভালো। কমিশন নিজে গিয়ে তো তাকে ধরে আনতে পারবে না। ’
জাতীয় সংসদের ছয় আসনের উপ-নির্বাচনের প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা প্রার্থীরা তাদের মতন করে গেছেন। ভোটের সব প্রস্তুতি শেষ। ক্যামেরা নাই এবার আপনারা জানেন। ব্যালটে না ইভিএমে ভোট হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কোয়ালিটি কন্ট্রোল (কিউসি) মেশিন প্রস্তুত। মেশিন যা দরকার তার চেয়ে বেশি দেড়গুণ দেয়া হয়েছে।’ ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পাওে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করা হচ্ছে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় গিয়ে প্রার্থীদের শক্ত সহঅবস্থান দেখে এসেছেন জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘পরস্পরের প্রতি পরস্পরের শ্রদ্ধা। প্রত্যেকেই সমস্বরে বলছে কমিশন যেভাবে চাইবে সেভাবেই নির্বাচন হবে। সবাই যখন একসাথে কাজ করে সেখানে আশা করি ভালোই হবে।’



বিষয়: #



আর্কাইভ