শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
সোমবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কঠোর বার্তা দিতে পেরেছি
প্রচ্ছদ » জাতীয় » নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কঠোর বার্তা দিতে পেরেছি
২৩৬ বার পঠিত
সোমবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কঠোর বার্তা দিতে পেরেছি

---

কমিশনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ইসি  

বিশেষ প্রতিনিধি 

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সব নির্বাচন সততার সঙ্গে এবং আন্তরিকভাবে করেছেন বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, আমরা কঠোর বার্তা দিতে পেরেছি নির্বাচন ব্যবস্থাপনায়। গাইবান্ধা উপনির্বাচন অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ভোটারদের আস্থা ফিরছে। সামনেও নির্বাচন রয়েছে। সংসদ নির্বাচনেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সুন্দর নির্বাচনের।

প্রত্যাশিত সফলতা অর্জন করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কাজের মূল্যায়ন সময়ই বলবে। কমিশনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক লিখিত প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি করেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, কত সময় পার হলো। প্রথম বছর গেলো, কিংবা শেষ বছর এলো। এটি আমার কাছে মুখ্য নয়। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছি এটা করেই যাবো। প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গেই করবো।

তিনি বলেন, আলাদা কোনও চ্যালেঞ্জ নয়। প্রতিটি নির্বাচন যেভাবে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করেছি, একইভাবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও করবো ইনশাআল্লাহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও ইতোমধ্যে বলেছেন, দেশে-বিদেশে সবার কাছে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

এই কমিশনার বলেন, বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় আসনের উপনির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হওয়ায় ও উপনির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম থাকায় ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়েছে। এটা সব নির্বাচনের দৃষ্টান্ত নয়। প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের কঠোর মনোভাব, স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছার কোনও ঘাটতি ছিল না। আগামীতেও থাকবে না।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠুভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে আমরা কর্মপরিকল্পনা ধরে এগিয়ে যাচ্ছি। সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করেছি, তা অব্যাহত থাকবে।

হাবিব খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা করার তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সমাধানযোগ্য কোনও বিষয় কমিশনের কাছে প্রত্যাশা করাও সমীচীন নয়। সাংবিধানিকভাবে আমাদের দায়িত্ব যতটুকু তার শতভাগ আমরা পালন করে যাবো।

দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক বিভেদ আর প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,সব দলের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে, ভোটে অংশ নিন। কমিশনের একার পক্ষে সব সম্ভব হবে না, সবার সহযোগিতাও দরকার।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি। উদ্দেশ্য একটাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা। সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের কোনও সময় নষ্ট হয়নি বরং জনসচেতনতা বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ইভিএমে সব নির্বাচন করেছি আমরা। সারা দেশেই ইভিএম নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ ও সচেতনতা তৈরি করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও সবার প্রত্যাশা বিবেচনা করে বড় পরিসরে ইভিএমে ভোট হচ্ছে না। তবে বিদ্যমান সচল ও কার্যক্ষম ইভিএমের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। এ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মনে করি। এমন পরিস্থিতিতে সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং কমিশনকে সহায়তা করবে বলেই প্রত্যাশা আমাদের।



বিষয়: #



আর্কাইভ