শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
সোমবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » বড় কোন পরিবর্তন ছাড়াই সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ
প্রচ্ছদ » জাতীয় » বড় কোন পরিবর্তন ছাড়াই সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ
২২৬ বার পঠিত
সোমবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বড় কোন পরিবর্তন ছাড়াই সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ

---

দাবি-আপত্তির সুযোগ ২০ দিন

বিশেষ প্রতিনিধি

বড় কোন পরিবর্তন ছাড়াই সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। নতুন সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা সৃষ্টি হওয়ায় সাতটি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে কারও কোনো আপত্তি থাকলে আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলেছে সংস্থাটি। রোববার বিকেলে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক খসড়ায় দেখা গেছে, নতুন সিটি করপোরেশন হওয়ায় ময়মনসিংহ ৪ আসন, নতুন উপজেলা হিসেবে প্রশাসনিক এলাকার পুর্নবিন্যাস হওয়ায় মাদারীপুর ৩, সুনামগঞ্জ ১ ও ৩, সিলেট ১ ও ৩ এবং কক্সবাজার ৩ আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ পরিবর্তনকে শুধু ‘প্রশাসনিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

খসড়া বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খসড়ায় আসনের কাঠামোগত কোনো রদবদল নেই। এতে আগের এলাকাগুলোকেই বিদ্যমান সংসদীয় সীমানার মধ্যে রাখা হয়েছে, বদল হয়েছে শুধু উপজেলার নাম কিংবা ওই এলাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে ঢুকে গেছে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নিধারণের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। কালকের মধ্যে গেজেট হয়ে যাবে। এখানে নতুন কিছুই নেই। ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অক্ষুন রয়েছে। শুধু প্রশাসনিক কারণে নামের পরিবর্তন হয়েছে অথবা প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো পুরনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দিয়ে করা হয়েছে। কোনো পরিবর্তন নেই। সম্ভবত পাঁচ-ছয়টা এ ধরনের হতে পারে। কমিশন অনুমোদন করেছে। এখন সচিব এটি গেজেট করবেন।

তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। তাই আমরা অপেক্ষা তো করতে পারছি না। তারা খসড়া যেটা দিয়েছে সেটা আমলে নিয়েছি। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং ভৌগলিক বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।

এটা প্রকাশ করার পর যদি জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় সমস্যা মনে করেন, ২০ দিন সময় দেবো, তারা আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেকটি আবেদনই আমরা শুনানি করবো। তাদের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, কেউ যদি বিরোধিতা না করেন তখন হয়তো আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। এছাড়া কোনো পরিবর্তন হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আগে একটা উপজেলা ছিল এখন দুইটা উপজেলা হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে আমরা নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। আর কোনো পরিবর্তন আনিনি। কোনো রাজনীতিবিদ বা যে কেউ এই ক্ষেত্রে সীমানা পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশার বলেন, দেশের যে জনসংখ্যা এতে প্রতি আসনে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ভোটার। আর জনসংখ্যার হিসেবে যদি আসনের সীমানা করি তাহলে দেখা যাবে যেকোনো  জেলায় একটা আসন হবে। আবার কোনো কোনো জেলা থেকে আসন কেটে এনে অন্য জেলায় দিতে হবে। যেমন ঢাকায় যদি পাঁচ লাখ ৫০ হাজারের ভিত্তিতে দিই, তাহলে আরও ১০টা আসন বাড়াতে হবে। গাজীপুরে পাঁচটা, চট্টগ্রামে দুইটা, খুলনায় মনে হয় দুইটা বাড়াতে হয়, রাজশাহীতে বাড়াতে হয়। এভাবে যদি সব শহরে  আসন চলে আসে, তাহলে অন্য জেলায় তো আসন হারাবে। একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে জনসংখ্যার আশা-আকাঙ্কার জন্য কাজ  কীভাবে করবেন। এজন্যই প্রশাসনিক ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইনেও তাই বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি যে শহর এলাকায় যে উন্নয়ন এতে সেবা দেওয়ার জন্য অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। বরং গ্রাম অঞ্চলে ওই সব সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। সেখানে মাননীয় সংসদ সদস্যের ভূমিকা অনেক বেশি। জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দিয়ে কোনো পরিবর্ত আনা হয়নি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর আরো বলেন, দরখাস্ত করলে সময় দেবো। সেদিন আসবেন তারা। বক্তব্য যৌক্তিক হলে মেনে নেবো। যাই হোক না কেন জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করবো। ইতোমধ্যে যেসব আবেদন পড়েছে, বেশির ভাগই এসেছে পরিবর্তন না করার জন্য।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ এর দফা (১) এর উপ-দফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ এর ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) (খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী এলাকা সমূহের সীমানা আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করছে এবং তালিকাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের থেকে লিখিত দাবি,আপত্তি,সুপারিশ,মতামত আহ্বান করছে।

সীমানা পুনঃনির্ধারণে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে:

প্রতিটি জেলার ২০১৮ সালে নির্ধারিত মোট আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা, প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ডের যথাসম্ভব অখণ্ডতা বজায় রাখা, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর এলাকার ওয়ার্ড একাধিক সংসদীয় আসনে বিভাজন না করা, যে সকল নতুন প্রশাসনিক এলাকা সৃষ্টি হয়েছে বা সম্প্রসারণ হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে তা অন্তর্ভুক্ত করা, এবং ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যথাযথ বিবেচনায় রাখা।






আর্কাইভ