শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ৩০ মার্চ ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » অর্ধ কোটি ভোটারের আঙুলের ছাপ ও আইরিশ সংগ্রহ করবে ইসি
প্রচ্ছদ » জাতীয় » অর্ধ কোটি ভোটারের আঙুলের ছাপ ও আইরিশ সংগ্রহ করবে ইসি
২৮০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৩০ মার্চ ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অর্ধ কোটি ভোটারের আঙুলের ছাপ ও আইরিশ সংগ্রহ করবে ইসি

---

বিশেষ প্রতিনিধি  

জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছেন কিন্তু দশ আঙুলের ছাপ দেননি এমন প্রায় অর্ধকোটি ভোটারের দু’হাতের দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রম শুরু হবে। এর ফলে ২০১৭-২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে ভোটার হওয়া প্রায় অর্ধ কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি সংগ্রহ করা হবে।

ইসির এনআইডি শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ইসির আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের একটি নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে। যেখানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. ইউনুচ আলীর পাঠানো ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে- দেশব্যাপী স্মার্ট কার্ড মুদ্রণ ও বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলা বা থানা পর্যায়ে ২০০৭-২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধিত নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে সকল উপজেলা বা থানায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে, সেখানে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধিত নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় ১০ আঙুলের ছাপ ও আইরিশ গ্রহণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ২০১৯ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় একবারেই নাগরিকদের ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মাঝখানে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের হালনাগাদের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নিবন্ধিত নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড মুদ্রণ ও বিতরণ না হওয়ায় তাদের ১০ আঙুলের ছাপ ও আইরিশ গ্রহণ করা হয়নি। এ পর্যায়ে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান সহজ করার লক্ষ্যে উক্ত সময়ে নিবন্ধিত নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ ছাড়াই ১০ আঙুলের ছাপ ও আইরিশ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে প্রত্যেক অঞ্চলে সিটি করপোরেশন বা শহর এলাকার একটি ওয়ার্ডে এবং পল্লী এলাকার ক্ষেত্রে একটি ইউনিয়নসহ মোট দুইটি এলাকায় পাইলটিং করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

---

নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে পাইলটিং করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এনআইডি মহাপরিচালককে দিতে হবে। একই সাথে পরীক্ষামূলক কর্মসূচির ক্ষেত্রে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের মধ্য থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট টিম গঠন করতে হবে। একজন অপারেটর দৈনিক ১৫০ জনের বায়োমেট্রিক গ্রহণ করবে। তবে সঠিকভাবে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করতে হলে একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দৈনিক কত সংখ্যক বায়োমেট্রিক গ্রহণ করতে পারবে তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।

এদিকে প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রত্যেক ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে তিন দিন করে মাইকিং করাসহ মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজে প্রচার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ চৌকিদার ও দফাদারের মাধ্যমে প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনে বায়োমেট্রিক গ্রহণের সময় উদ্ভূত সমস্যা নিরূপণ ও সমাধানের উপায় নির্ধারণ এবং উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যয়ের খাত ও হারসহ ডাটা প্রতি সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করতেও বলা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারির পর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এরপর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। সে সময় তৎকালীন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট ভোটার ছিল ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০১ জন। এবার হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৩৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৯৭১ জন এবং নারী ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬২২ জন। এরপর ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের কারণে হালনাগাদ না হলেও ২০১৯ সালে ফের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়, যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ২০২০ সালে।



বিষয়: #



আর্কাইভ