শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ১১ মে ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » মেয়ে আনিকার চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাইলেন মা রত্না
প্রচ্ছদ » জাতীয় » মেয়ে আনিকার চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাইলেন মা রত্না
২৩৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১১ মে ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মেয়ে আনিকার চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাইলেন মা রত্না

মা ও নানার সাথে বসা এগারো মাসের শিশু আনিকা

বিশেষ প্রতিনিধি
শরীয়ত পুর জেলার নরিয়া সাহেবের চরের বাসিন্দ রত্না আক্তার স্বামী আলামিন। একদিকে পদ্মার সঙ্গে সংগ্রাম আরেক দিকে দারিদ্রের সঙ্গে বসবাস রত্না আক্তারের। রত্না ও আলামিনের সংসারে ফুটফুটে দুটি কন্যা সন্তান। দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে আনিকার বয়স ১১মাস। 
গত বুধবার (১০ মে) বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আনিকার মা রত্না আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি জানালেন, মেয়ে আনিকা সিস্টি হাইকমা রোগে আক্রান্ত।
মা রত্না জানালেন, মেয়ে আনিকা জন্মগতভাবেই এই রোগটি নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। ডা. নাজমুলের সাহায্যে শিশু হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করেছেন। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক  সার্জারি অধ্যাপক  ডা. ইপসিতা বিশ্বাসের অধীনে চিকিৎসাধীন।
মা রত্না জানালেন, আনিকার ফুলাস্থান থেকে চিকিৎসকরা পানি বাহির করেছে। তিনি আরো বলেন, সম্ভবত আগামী মাসে অপারেশন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আনিকার মা বলেন, আনিকার বাবা গুলিস্তান ফুটপাতে মানুষের দোকানে চাকরি করেন। গ্রামবাসি ও আত্বীয় স্বজনের সাহায্যে চিকিৎসা খরচ চালাচ্ছেন। এপর্যন্ত শিশু হাসপাতালে ভর্তিসহ চিকিৎসার খরচ অন্যের সাহায্যেই চলছে।
তিনি বলেন, এপর্যন্ত খরচ হয়েছে  প্রায় ২ লাখ টাকা, প্রতিবার পানি ফেলতে ঔষধ , ইনজেকশন, অটিচার্জ সবমিলিয়ে ২০হাজার করে টাকা খরচ হচ্ছে, প্রতিদিন সিট ভাড়া ৭০০ টাকা দিতে হয়। সেই সঙ্গে শিশুর সঙ্গে থাকা মা এবং নানার খাওয়া থাকার খরচ রয়েছে।
এপর্যন্ত আনিকার গালের ফোলা অংশ থেকে ৩ বার পানি ফেলা হয়েছে। রত্নার বাবা আবু বাশার কাজী বলেন, পদ্মা নদী চারবার তার বাড়ী ঘর ভেঙে নিয়েছে। এখন তিনি পরের বাড়ী পরের জমিতে থাকেন। নিজের বলতে কোন কিছুই নেই, সবই পদ্মা নদী নিয়ে নিয়েছে।
তার সংসার চলে শরীয়তপুরে বুট পিঁয়াজি বিক্রি করে কোন রকম চলছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নিকট সাহায্য চেয়ে বলেন, আমি দরিদ্র মানুষ। জমি-জমাহীন নি:স্ব বাবা আমার মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছি আরেক দরিদ্র মানুষের সন্তানের কাছে।জামাই ঢাকার গুলিস্তান ফুটপাতে অন্যের দোকানে কাজ করে যে, টাকা পান সেই টাকায় নিজে চলে বৌ-বাচ্চার জন্যে পাঠায়। গরীব পিতার পক্ষ্যে এই শিশুর চিকিৎসার খরচ সম্ভব হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী পাশে দাড়িয়েছেন।
নানা বলেন, এখন গ্রামবাসী আত্বিয়স্বজনের কাছেও টাকা চাইতে পারিনা। তারা আর কত দিবেন ?
নাতিন আনিকার চিকিৎসায় তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়ে বলেন, বৃহৎত্তোর ফরিদপুরের আমাদের গর্বিত বাংলাদেশের জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং আমাদের ফরিদপুরের গর্বিত সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা যদি শিশু আনিকার চিকিৎসায় তারঁ দুহাত বারিয়ে দিতেন। তাহলে আমার নাতিন নতুন জীবন ফিরে পেতো।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, আনিকার অসুখটি জন্মগত। আমরা চেষ্টা করছি ইনজেকশনের মাধ্যমে সুস্থ করার। আর যদি তা না হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত হয়তো অপারেশনের সম্ভবনা রয়েছে।
আনিকার মা রত্না আক্তার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এপর্যন্ত সমস্ত চিবিৎসার ব্যায় তিনি অন্যের সাহায্যেই করছেন। শিশু হাসপাতালে গরীবের চিকিৎসায় কোন সহযোগিতা করা হয় কি না তার জানা নেই। তবে জনদরদী আমাদের এবং দেশের মা-মাটি মানুষের সরকার প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট সাহায্য চেয়ে বলেন, আমার সন্তান আনিকার চিকিৎসার জন্য শিশু হাসপাতালকে বলে দিতেন। সেই সাথে আমি আমার সন্তানের পাশে গ্রামবাসী-আত্বিয় স্বজনের মতো পেতাম, আমার বৃহত্তম ফরিদপুরের অভিবাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাকে। আমার বিশ্বাস আনিকা সুস্থ্য হয়ে যাবে। মেয়ে আমার নতুন জীবন ফিরে পেতো।



বিষয়: #



আর্কাইভ