শুক্রবার ● ২৬ মে ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে: রিটার্নিং কর্মকর্তা
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে: রিটার্নিং কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেছেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ গাজীপুর নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। গাজীপুরে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটা একমাত্র আপনাদের সহযোগিতার কারণে সম্ভব হয়েছে। আইন মেনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আপনার যে সহযোগিতা করেছেন তা উদাহরণ হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে গাজীপুর বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামের সিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার শেষ মুহূর্তে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত ৫ এপ্রিল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই গাজীপুর সিটি নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করি। জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। মেট্রোপলিটনের কমিশনার অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। গাজীপুরে যারা কর্মরত ছিলেন তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। প্রার্থিরা সহযোগিতা করছেন। মিডিয়ার ভাই ও বন্ধুরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রিয় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ১৯ জন তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। খেয়ে না খেয়ে পরিশ্রম করছেন। এখানে প্রায় একশর মতো স্টাফ কাজ করেছেন। তারা অনেক সময় থাকার জায়গা পায়নি। তারপরও কাজের দিক থেকে পিছু হটেননি তারা। নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করেছেন।
ভোটারদের ধন্যবাদ দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে অমায়িক ব্যবহার করেছেন। আমার ব্যক্তিগতভাবে সকল পর্যায়ে লোকজনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এদিকে গাজীপুরের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন। ৪৮০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে জায়েদা খাতুন ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। আর আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। অন্য কোন প্রার্থী এই দুইজনের ভোটের কাছাকাছি ছিলেন না।
মেয়র নির্বাচনে মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল মার্কার এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, হাতপাখার গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাজু আহমেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশিদ ২ হাজার ৪২৬ ও হাতি প্রতীক নিয়ে সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।