শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
সোমবার ● ৫ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » কাউকে সুবিধা দিতে সীমানা পরিবর্তন নয়: ইসি আলমগীর
প্রচ্ছদ » জাতীয় » কাউকে সুবিধা দিতে সীমানা পরিবর্তন নয়: ইসি আলমগীর
১৬১ বার পঠিত
সোমবার ● ৫ জুন ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কাউকে সুবিধা দিতে সীমানা পরিবর্তন নয়: ইসি আলমগীর

---

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, কাউকে সুবিধা দিতে বা অসুবিধায় ফেলার জন্য সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়নি। এলাকার ভোটার ও জনগণের সুবিধা বিবেচনার পাশাপাশি সংবিধান ও আইন মেনে ‘যৌক্তিকভাবেই’ ১০টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

৩০০ সংসদীয় আসনের গেজেট প্রকাশের পর রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এই নির্বাচন কমিশনার।

মো. আলমগীর বলেন, “২০১৪ সালে ৪০টি এবং ২০১৮ সালে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। তার আগে আরও বেশি ছিল। এ সব পরিবর্তন করলে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যত পরিবর্তন কম করা যায়, এটা ইসির ‘টার্গেট’ ছিল।

“কে, কী বললেন, না বললেন- সেটা মুখ্য বিষয় ছিল না। আমাদের কাছে প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং এলাকার ভোটার ও স্থানীয় জনসাধারণ কী চায়, সেটা আমাদের কাছে মুখ্য ছিল। কারণ কারা নমিনেশন পাবেন সেটা তো আমরা জানি না। সবার জন্য যাতে সমান মাঠ হয়, সেটা চিন্তা করেই আমরা কাজটি করেছি।”

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পিরোজপুর ১ ও ২, গাজীপুর ২ ও ৫, ফরিদপুর ২ ও ৪, কুমিল্লা ১ ও ২ এবং নোয়াখালী ১ ও ২ আসনের সীমানায় ছোটোখোটো পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার। বাকি আসনগুলোয় আগেরবারের সীমানায় ভোট করতে যাচ্ছে বর্তমান ইসি।

মো. আলমগীর বলেন, “ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনও হয়নি। যদি জনশুমারি আমলে নিতে যাই, তাহলে অনেক জেলায় আসন আরও কমে যাবে। কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে।

“আমরা এটা করি না। সেই ভিত্তিতে আমরা পাঁচটা আসনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই পাঁচটা আসনের কারণে বাকি পাঁচটাতে পরিবর্তন এসেছে।”

কাউকে সুবিধা দিতে বা অসুবিধায় ফেলার জন্যে মাত্র ১০ আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, “প্রশ্নই আসে না। আমরা তো জানিই না কে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, সেটা জানার তো সুযোগ নেই। আইনে যেভাবে বলেছে সেভাবে করেছি। এর বাইরে কাউকে দেখার বা তাকানোর সুযোগ নেই।

“যেগুলো আবেদন ‘লজিক্যাল’ (যৌক্তিক) মনে হয়েছে সেগুলো আমলে নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের লজিক্যাল কাজ করার ক্ষমতা সংবিধান দিয়েছে, আইন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেটাই করেছে।”

এবারের সীমানা পুনঃনির্ধারণের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, খসড়া প্রকাশের পর ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। আর ৬০টি আবেদন পড়েছিল, যেগুলোর বক্তব্য ছিল, ওই খসড়া ঠিক আছে, কোনো রকম পরিবর্তন করার দরকার নেই।

“কমিশন এরপর শুনানি করেছে। সবার শুনানি, যত কথা ছিল, যত কাগজপত্র, ম্যাপ জমা দিয়েছে; কমিশন দীর্ঘ সময় ধরে পর্যালোচনা করে একাধিক বৈঠকে।

“বেশ কিছু আবেদন ছিল, আসন সংখ্যা বাড়ানোর- সে ক্ষমতা তো ইসির নেই। প্রত্যেকটা আসনে কে পক্ষে কে বিপক্ষে বলে সব রেকর্ড করা হয়েছে। একেবারে আদালতের রায়ের মত করে।”

সীমানা পুননির্ধারণের পরেও কারও বক্তব্য থাকলে ‘কোর্টে’ (আদালতে) যেতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন আলমগীর। ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয় ১ জুন।



বিষয়: #



আর্কাইভ