মঙ্গলবার ● ৬ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সমন্বিত বাস্তবায়ন জরুরি
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সমন্বিত বাস্তবায়ন জরুরি
জলবায়ু পরিস্থিতি নিয়ে নিমকো’র সেমিনারে বক্তারা
* জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ সপ্তম
* অভিযোজনে দেশের ব্যয় হবে ২৩০ বিলিয়ন ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা জরুরি মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ (৬ জুন ২০২৩) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ১৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম । সেমিনার বক্তারা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হক-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ-উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ. খান। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিরসনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় একটি বলিষ্ঠ অভিযোজন পরিকাঠামো গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অভিজ্ঞতা বিনিময়, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ন্যাপ সম্পর্কে জনগণের এর ভূমিকা সম্পর্কে জানাতে তিনি সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। আলোচনায় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমন্বিত পানি সম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হতে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ের তথ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এর সঙ্গে যদি গণমাধ্যম আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় আরও সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন- সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট’স ফোরামের মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাট, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী। এছাড়াও সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তরসমূহ, বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ। সেমিনার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) তানিয়া খান ।
বিষয়: #জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সমন্বিত বাস্তবায়ন জরুরি