শনিবার ● ১৭ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা
আন্দোলনে নেমেছেন নাট্যকর্মীরা
সংগঠনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত নাট্যাঙ্গন, সমালোচনা
বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন কমিটি এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ে বেড়েই চলছে সমালোচনা ও বিতর্ক। তার ওপর ফেডারেশনকে ঘিরে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকার নাটকপাড়া। দেশে থিয়েটার আন্দোলনের অভিভাবক এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে ‘সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ’ নামে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন একদল নাট্যকর্মী। সেখানে ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ নয় দফা দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে সমাবেশের ঘণ্টা তিনেক আগে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন বলে, যারা আন্দোলন করছেন, তারা ফেডারেশনের ‘কেউ নন’।
জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত সেই প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আহমেদ ইকবাল হায়দার, আজাদ আবুল কালামসহ অনেকে। সারা যাকের মোবাইল ফোনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ বারী। সঞ্চালনা করেন ফয়েজ জহির।
সেই সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে নজিরবিহীনভাবে একই ব্যক্তি বছরের পর বছর ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদে দায়িত্ব পালন করায়। ফলে ঢাকাসহ সারাদেশের নাট্যচর্চা আদর্শিক দিশাহীনতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং নানাবিধ সংকটের সম্মুখিন হয়েছে। মূলত লিয়াকত আলী লাকীর স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণেই এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।”
এছাড়াও বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। তবু নতুন কমিটি গঠনের কোনো উদ্যোগ তারা নিচ্ছে না। এমনকি যাঁরা নতুন কমিটির কথা বলছেন, তাঁদেরও বিভিন্নভাবে হেয় করছে এই কমিটি। একের পর এক অবৈধ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া জাতীয় নাট্যশালার তিনটি মিলনায়তনে লাইট, সাউন্ডসহ নানাবিধ কারিগরি ও পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে। এসব অভিযোগ জানিয়ে ‘সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ‘স্বেচ্ছাচারিতা, অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ কার্যক্রম’ এবং ৬৭ নাট্যজনকে ‘কদর্য ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণের’ জবাবে নাট্যকর্মীদের এই প্রতিবাদ সমাবেশ। সেখানে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
সমাবেশে জানানো হয়, এই ফেডারেশনের সাবেক চার সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম. হামিদ ও সারা যাকেরও দ্রুত এই সংকট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠান বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকীকে। সেই চিঠির উত্তর দেওয়া হলেও তাতে চিঠিদাতাদের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হয়। এরপর গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ৬৭ নাট্যজন একটি বিবৃতি দেন।
বিবৃতির প্রেক্ষিতে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে চরম অশালীন ও কদর্য ভাষায় শিষ্টাচারবহির্ভূতভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিবৃতি দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলের সমাবেশে অভিনেতা শহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, শুধু এই সংকট নয়, নাটকের দর্শক বাড়ানোর কোনো চেষ্টাই নেই এই কমিটির। উল্টো কীভাবে নাটকের দর্শক কমানো যায়, তার দিকে নজর তাদের। শিল্পকলার মাঠে অর্থের বিনিময়ে অথবা বিনা মূল্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেলার অনুমতি দিয়ে আসছে তারা। এতে করে যাঁরা নাটক দেখতে আসেন, বাইরের শব্দের কারণে তাঁদের আরও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই ফেডারেশনের কাজ নাট্যাঙ্গনের উন্নয়ন করা কিন্তু তারা করছে তার বিপরীত কাজ।
সমাবেশে বলা হয়, চলমান সংকট দূরীকরণে লিয়াকত আলী লাকীকে আলোচনার জন্য বারবার আমন্ত্রণ জানালেও তিনি তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি শুধু অভিযোগ করে যাচ্ছেন, কামাল বায়েজীদের ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার অর্থ জালিয়াতির কথা। এ প্রসঙ্গে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘এই অভিযোগের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। এতে যদি কামাল বায়েজীদ দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে ফেডারেশন যথাযথ শাস্তি দিক।’ বক্তব্যে তিনি জানান, কামাল বায়েজীদ দোষী হলে ঢাকা থিয়েটারও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে। এই সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে এই সংকট নিরসনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ৯ দাবি তুলে ধরেন নাট্যজন ও নাট্যকর্মীরা।
সেগুলো হলো-
১. বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের ঐক্য ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিকে বারংবার অগ্রাহ্য করে, সংকট সমাধানের কোনোরকম উদ্যোগ গ্রহণ না করে বরং যারা ফেডারেশানের ঐক্য ও গঠনতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, তাদেরকেই ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে সারাদেশে ১৭ থেকে ২৩ জুনের প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়ে চূড়ান্ত বিভাজনের পথে এগিয়ে গেছে, তা থেকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডাশোনকে সরে আসতে হবে। তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে।
২. বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের পক্ষ থেকে রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম. হামিদ ও সারা যাকেরকে মূল বিষয় এড়িয়ে বিভ্রান্তিকর যে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং ড. মোহাম্মদ বারীসহ ৬৭ নাট্যজনকে ‘অশালীন ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করে’ যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, এই দুই পদে একই ব্যক্তির অধিষ্ঠান প্রথাবিরোধী ও ফেডারেশানের গঠনতন্ত্রের মূল মর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। নাট্যকর্মীদের দাবি, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করে গঠনতন্ত্রের মূল মর্মকে সমুন্নত করবেন।
৪. ব্যক্তিস্বার্থে বারবার ফেডারেশানের গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন অগ্রহণযোগ্য। অতএব এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় ও উদ্দেশ্যমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফেডারেশানকে বিরত থাকতে হবে।
৫. বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের আর্থিক অনিয়ম বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের উত্থাপিত অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. নানা ধরনের প্রলোভনের মাধ্যমে সাধারণ নাট্যকর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি ও বিভ্রান্তিমূলক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
৭. হল বরাদ্দে অব্যবস্থা-অনিয়ম দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নাট্যজনদের সমন্বয়ে নতুন হল বরাদ্দ কমিটি গঠন করে, তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
৮. নাট্যকর্মীদের বক্তব্য ও দাবিসমূহকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. দেশব্যাপী স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান এবং জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নানা ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার ব্যাপারে দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়তা পরিহার করতে হবে এবং অতীতের মতো শৈল্পিক প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে।
এই প্রতিবাদ সভা থেকে আরো জানানো হয়, এসব দাবি অবিলম্বে পূরণ করা না হলে নাট্যকর্মীরা একটি নাট্য ঐক্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার উদ্যোগ নেবেন। প্রতিবাদ সমাবেশে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা বিভাজন চাই না, এক হয়ে নাট্যাঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তাই প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্ব। গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে এই নেতৃত্ব গঠন করা হোক।’
সমাবেশে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি সারা যাকের সংহতি প্রকাশ করে মুঠোফোনে বক্তব্য দেন এবং রামেন্দু মজুমদার লিখিত বিবৃতি পাঠান। চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নাট্যকর্মীরা এসেছেন এই সমাবেশে। এ ছাড়া বিবৃতি প্রদানকারী ৬৭ জনের অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে একইদিন দুপুরে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজাসহ ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান যেখানে সারাদেশের নাট্যচর্চাকে বেগবান এবং কার্যকরীভাবে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে একটি মহল বাংলাদেশ ফেডারেশানকে অকার্যকর হিসেবে আখ্যায়িত করার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং নাট্যকর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির করার কাজে লিপ্ত। আমরা এই অপচেষ্টার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।”
৬৭ জন নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক বিবৃতির প্রসঙ্গ ধরে ফেডারেশনের তরফ থেকে বলা হয়, “যেসকল সংগঠনের সাথে ফেডারেশানের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই তাদের এ ধরনের বিবৃতি প্রদান করার যৌক্তিকতার বিষয়টি আমাদের বোধ্যগম্য নয়। নাট্যান্দোলন ও ফেডারেশানকে নিয়ে অর্বাচীন উক্তি নাট্যচর্চাকে অবমাননার সামিল বলে মনে করে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান।”
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলকে এধরনের বিবৃতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নোংরা পোস্ট’ দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানায় ফেডারেশন। তা না হলে ফেডারেশান এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়।
যেভাবে শুরু হয় টানাপড়েন
২০২২ সালে ‘আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার’ অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ এবং অর্থ সম্পাদক রফিকুল্লাহ সেলিমকে অব্যাহতি দেওয়া হলে সংকটের সূচনা হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে কামাল বায়েজীদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এভাবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কাউকে অব্যাহতি দেওয়া ‘অগণতান্ত্রিক’।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রামেন্দু মজুমদার গত ২৩ জানুয়ারি নাট্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠিতে ফেডারেশানের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্যে স্থগিত করার আহ্বান জানান। বায়েজীদকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় মার্চে ফেডারেশন ছাড়ার ঘোষণা দেয় ঢাকা থিয়েটার।
তাতে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে এপ্রিলে ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে চিঠি দেন দেশের শীর্ষ চার নাট্যসংগঠনের প্রধান, যারা বিভিন্ন মেয়াদে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। তাদের মধ্যে আছেন রামেন্দু মজুমদারও। এছাড়া ‘নাট্যচক্রের’ পক্ষে ম হামিদ, ‘আরণ্যকের’ পক্ষে মামুনুর রশীদ এবং ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের’ পক্ষে সারা যাকের চিঠিতে সই করেন।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে অনাস্থা এবং সংগঠনের অচলাবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থিয়েটার চর্চার সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ৬৭ জন নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক বিবৃতি দেন।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন নাট্যজন মোহাম্মদ বারী। পরে এই বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে ফেডারেশন মোহাম্মদ বারীকে হেয় করে পাল্টা বিবৃতি দেয়।
নাট্যকর্মীদের একাংশ ফেডারেশনের ভাষার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং মোহাম্মদ বারীকে কুরুচীপূর্ণ ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে বলে ফেইসবুকে প্রতিবাদ জানান অনেকে।
মোহাম্মদ বারীর প্রতিবাদী অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে থিয়েটার পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’সহ নাট্যকর্মীদের একাংশ তার পক্ষে অবস্থান নেন। পরে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ ব্যানারে তারা শুক্রবার বিকালে জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করেন।
বিষয়: #গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা