শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
মঙ্গলবার ● ২০ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে ভোট কাল
প্রচ্ছদ » জাতীয় » রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে ভোট কাল
২০২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২০ জুন ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে ভোট কাল

---
# কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম

# ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি

শাহনাজ পারভীন এলিস (রাজশাহী থেকে)
রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) ও
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট। এই দুই সিটিতেও এবার ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। থাকবে প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভির নজরদারি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার গতকাল সোমবার রাতেই শেষ হয়েছে।
আজ সকাল ১০টা থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। ভোট অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহীতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এ সিটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীও  নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই দুই সিটির নির্বাচন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে মূলত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে।
রাজশাহী সিটির ১৫৫টি  ভোটকেন্দ্রর মধ্যে ১৪৮ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রর এক হাজার ১৫৩টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। আর নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। নতুন ভোটার রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, ‘ভোটের দিন সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু কেন্দ্রের গুরুত্ব একটু বেশি থাকে। এসব কেন্দ্রে ছয় থেকে সাতজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এ ছাড়া আনসার সদস্যরাও কেন্দ্রে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন।’
র‌্যাব-৫-এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, এরই মধ্যে ভোটের মাঠে র‌্যাব নেমেছে। ভোটের দিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২৫০ জন র‌্যাব সদস্য মাঠে থাকবেন। কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে যাবেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবেন। এর পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও মাঠে থাকবেন।

---

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার আট জন মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে বরিশালের ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে এখন প্রার্থী মূলত সাতজন। তাঁদের মধ্যে  আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও লাঙলের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলেই মনে করছে নগরবাসী।
সিলেট সিটি করপোরেশনে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের ১৩২টিই গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ। নগরের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮টির সব কটি ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিটির মোট ভোটার চার লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এবারের নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে এক হাজার ৩৬৪টি। সব  ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বলেন,  সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের স্বার্থে সব ভোটকেন্দ্রেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন।
নির্বাচনি দুই সিটি এলাকায় গত রাত ১২টার পর থেকেই মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত। এছাড়া আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার ও ইজি বাইক চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে।
এই দুই সিটির নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিন ধাপে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচন শেষ হচ্ছে। এর আগে প্রথম ধাপে গত ২৫ মে গাজীপুর এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ১২ জুন বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এসব নির্বাচনের মধ্যে মেয়র পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন হয়েছে গাজীপুরে। বরিশাল ও খুলনায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সে ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি।



বিষয়: #



আর্কাইভ