শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
শুক্রবার ● ২৩ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
প্রচ্ছদ » জাতীয় » আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
২১০ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২৩ জুন ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

---

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগ। নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই দলটি আজকের শক্তপোক্ত অবস্থানে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দলটি দেশের ৫৩ বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসে সাড়ে ২১ বছর দেশ শাসন করেছে। বর্তমানে দলটি সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছে। দেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া আওয়ামী লীগ এখন হীরকজয়ন্তীতে পা দিয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন গঠিত দলটি- বছর পালন করছে তার ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই দীর্ঘ সময় পাড়ি দিতে দলটিকে নানা কণ্টকাকীর্ণ পথ চলতে হয়েছে। ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে বারবার। ভাঙনেরও মুখোমুখি হতে হয়েছে একাধিকবার। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে দলটি। নির্বাচন মুখে দলটি শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সব নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছে। প্রতিটি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে রেখেছে ঐক্যবদ্ধ। অতীতের সব বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন মহীরুহে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা টানা ৪২ বছর দলটির নেতৃত্ব দিয়ে দেশের শক্তিশালী জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে টানা তিনবারসহ চারবার সময় তিনি দলকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনবার সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে দলটি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে উন্নত, স্মার্ট দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার।

---

একনজরে আওয়ামী লীগ

২৩ জুন, ১৯৪৯: আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা, মুসলিম লীগের প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী একটি অংশ বেরিয়ে নতুন এই দল গঠন করে। সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, বন্দি অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমান হন যুগ্ম সম্পাদক।

১৭ জুলাই ১৯৪৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পান।

২৩ অক্টোবর ১৯৭৯: আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক গ্রেফতার।

০১ জানুয়ারি ১৯৫০: বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার।

২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: বঙ্গবন্ধুর মুক্তি।

- জুলাই ১৯৫৩: কাউন্সিলে সভাপতি পদে মওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত।

২১ অক্টোবর, ১৯৫৩: দলের নাম থেকে মুসলিম বাদ দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগ ঘোষণা।

১৪-১৫ নভেম্বর ১৯৫৩: ময়মনসিংহে দলের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশন, যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত, ২১ দফা ঘোষণা।

ডিসেম্বর ১৯৫৩: যুক্তফ্রন্ট গঠন।

মার্চ, ১৯৫৪: প্রাদেশিক নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের জয়জয়কার।

২১-২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৫: সম্মেলনে মওলানা ভাসানী সভাপতি শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত।

১৯-২০ মে ১৯৫৬: দলের বিশেষ কাউন্সিল।

সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬: যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক সরকার গঠন, মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, শেখ মুজিব শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।

ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭: আওয়ামী লীগের বিশেষ সম্মেলন- একই সঙ্গে দলের নেতৃত্ব মন্ত্রিসভায় থাকা যাবে না।

মার্চ, ১৯৫৭: পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব তোলায় মওলানা ভাসানীর সমালোচনা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায়

১৮ মার্চ, ১৯৫৭: আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ছাড়লেন মওলানা ভাসানী। দলে ভাঙন, চার মাস পর নতুন দল ন্যাপ গঠন মওলানা ভাসানীর।

১৩-১৪ জুন ১৯৫৭: সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ। সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিব।

অক্টোবর ১৯৭৮: আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারি, রাজনীতি নিষিদ্ধ।

২৫ জানুয়ারি, ১৯৬৪: আইয়ুব খানের সামরিক শাসনে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবন সিদ্ধান্ত।

মার্চ ১৯৬৪: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবন।

ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬: লাহোরে দফা উত্থাপন শেখ মুজিবের।

১৮-২০ মার্চ, ১৯৬৬: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ছয় দফা গৃহীত, যাকে বলা হয় বাঙালির মুক্তির সনদ; শেখ মুজিব সভাপতি নির্বাচিত, সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ।

মে, ১৯৬৬: শেখ মুজিব গ্রেফতার।

১৯-২০ আগস্ট, ১৯৬৮: কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত।

১৭ জানুয়ারি ১৯৬৮: বঙ্গবন্ধুকে জেল গেট থেকে আটক, রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গং নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের।

১৯ জুন, ১৯৬৮: শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার শুরু।

২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯: গণঅভ্যুত্থানে আইয়ুব খানের পতনের পর শেখ মুজিবের মুক্তি।

২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সংবর্ধনায় শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান।

ডিসেম্বর, ১৯৬৯: পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বলে আখ্যায়িত করলেন বঙ্গবন্ধু।

জুন, ১৯৭০: সম্মেলনে পুনরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সভাপতি এবং তাজউদ্দীন সাধারণ সম্পাদক।

ডিসেম্বর, ১৯৭০: সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়।

১২ জানুয়ারি, ১৯৭১: ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে টালবাহানার মধ্যে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বৈঠক।

২৭ জানুয়ারি, ১৯৭১: ঢাকায় এসে শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনা জুলফিকার আলী ভুট্টোর।

মার্চ, ১৯৭১: ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানায় সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান বঙ্গবন্ধুর।

মার্চ, ১৯৭১: ইয়াহিয়ার আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আগে জনতার ওপর গুলিবর্ষণের বিচার দাবি বঙ্গবন্ধুর।

মার্চ, ১৯৭১: রেসক্রস ময়দানে বঙ্গন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক।

মার্চ, ১৯৭১: বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের অসহযোগ আন্দোলনের সংশোধিত নির্দেশ।

২৫ মার্চ, ১৯৭১: কালো রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ শুরু।

২৬ মার্চ, ১৯৭১: প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার, তার আগে জাতির পিতার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা।

১৭ এপ্রিল, ১৯৭১: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন।

সেপ্টেম্বর, ১৯৭১: আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতে জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠন।

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১: ঐতিহাসিক রেস ক্রস ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ, বাংলাদেশের বিজয়।

২২ ডিসেম্বর, ১৯৭১: পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রত্যাবর্তনকারী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের নেতাদের সংবর্ধনা।

১০ জানুয়ারি, ১৯৭২: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

১২ জানুয়ারি ১৯৭২: দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর দায়িত্ব গ্রহণ, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু।

১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২: স্বাধীন দেশে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক পথে সমাজতন্ত্রে উত্তরণের লক্ষ্য ঘোষণা আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর।

এপ্রিল, ১৯৭২: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু সভাপতি পদেপুনর্নির্বাচিত, নতুন সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

১৯ জুলাই, ১৯৭২: ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আলাদা কাউন্সিল, আওয়ামী লীগে ভাঙনের সুর।

২৩ অক্টোবর, ১৯৭২: আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে কতিপয় ব্যক্তির নতুন দল জাসদের আত্মপ্রকাশ।

মার্চ, ১৯৭৩: বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন।

১৬ মার্চ, ১৯৭৩: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন।

১৮-২০ জানুয়ারি, ১৯৭৪: সম্মেলনে সভাপতি হলেন এইচ এম কামারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

১৪ অক্টোবর, ১৯৭৪: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ত্রিদলীয় ঐক্যজোট গঠন, অন্য দুই দল ন্যাপ-মোজাফফর সিপিবি।

২১ জানুয়ারি, ১৯৭৫: আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে সর্বময় ক্ষমতা প্রদান

২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫: একক দল শাসিত জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধন, বঙ্গবন্ধু হলেন রাষ্ট্রপতি।

২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫: সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে নতুন দল বাকশাল গঠন; দলের চেয়ারম্যান হলেন বঙ্গবন্ধু।

জুন, ১৯৭৫:  জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা গণতন্ত্র মূলনীতি নিয়ে বাকশালের গঠনতন্ত্র ঘোষণা; এম মনসুর আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫: সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তার নেতৃত্বে ক্যু, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, শীর্ষনেতারা বন্দি, বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ রেহানা।

নভেম্বর, ১৯৭৬: নতুন প্রণীত রাজনৈতিক দল গঠন নীতিমালার আওতায় আওয়ামী লীগের অনুমোদন লাভ; ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মহিউদ্দিন আহমেদ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দায়িত্বে।

এপ্রিল, ১৯৭৭: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে জোহরা তাজউদ্দীন আহ্বায়ক নির্বাচিত।

- মার্চ, ১৯৭৮: সম্মেলনে আবদুল মালেক উকিল সভাপতি এবং আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯: দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মালেক উকিলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করে বিরোধী দলের আসনে, বিএনপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১: বিদেশে থাকা অবস্থায় দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

১৭ মে, ১৯৮১: শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, পিতার হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক দায়িত্বভার গ্রহণ।

১৫ নভেম্বর, ১৯৮১: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী . কামাল হোসেন বিএনপির বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের কাছে পরাজিত।

আগস্ট, ১৯৮৩: আওয়ামী লীগ থেকে আব্দুর রাজ্জাক, মহিউদ্দিনসহ ছয় জনকে বহিষ্কার; দুই মাস পর তারা বাকশাল গঠন করেন।

মে, ১৯৮৬: তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ করে বিরোধী দলের আসন লাভ, ভোটে অংশ নেওয়া নিয়ে বিতর্কে ১৫ দলে ভাঙন।

- জানুয়ারি, ১৯৮৭: শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

২৮ অক্টোবর, ১৯৮৭: এরশাদবিরোধী আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দলীয় জোটনেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলীয় জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার বৈঠক।

১১ নভেম্বর, ১৯৮৭: ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে সহিংসতার মধ্যে শেখ হাসিনা খালেদা জিয়া গৃহবন্দি।

১৮ নভেম্বর, ১৯৯০: এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে; ক্ষমতা হস্তান্তরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন দলসহ তিনদলীয় জোটের রূপরেখা প্রকাশ।

ডিসেম্বর, ১৯৯০: তিন জোটের আন্দোলনের জয়, ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা এইচ এম এরশাদের।

২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১: অস্থায়ী সরকারের অধীনে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দলীয় জোটের অংশগ্রহণ। বিএনপির জয়।

মার্চ, ১৯৯১: ভোটে হারের জন্য সভাপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগ, দলীয় নেতাকর্মীদের চাপে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার।

১৪ আগস্ট, ১৯৯১: আওয়ামী লীগে একীভূত হলো আব্দুর রাজ্জাক নেতৃত্বাধীন বাকশাল।

অক্টোবর, ১৯৯১: সংসদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর হার।

১৯ জুন, ১৯৯২: আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন কামাল হোসেনের।

আগস্ট, ১৯৯২: খালেদা জিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাব।

২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২: আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩: সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামাল হোসেনকে দল থেকে অব্যাহতি।

ডিসেম্বর, ১৯৯৩: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে, বললেন শেখ হাসিনা।

২৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৪: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিরোধী দলের সদস্যদের সংসদ থেকে পদত্যাগ।

১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬: আওয়ামী লীগের বর্জনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন, আন্দোলনে অচল দেশ।

মার্চ, ১৯৯৬: আওয়ামী লীগের ডাকে লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন শুরু।

৩০ মার্চ, ১৯৯৬: আওয়ামী লীগের দাবি মেনে খালেদা জিয়ার পদত্যাগ।

১২ জুন, ১৯৯৬: সপ্তম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন।

২৩ জুন, ১৯৯৬: ২১ বছর পর ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ শেখ হাসিনার।

১২ নভেম্বর, ১৯৯৬: সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল, খুললো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ।

১৫ জুলাই ২০০১: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান লতিফুর রহমানের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা হস্তান্তর।

অক্টোবর, ২০০১: মেয়াদ পূর্ণ করার পর অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়।

২৬ ডিসেম্বর, ২০০২: আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে নতুন সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল।

২১ আগস্ট, ২০০৪: ঢাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা; মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী নিহত।

১১ জানুয়ারি, ২০০৭: বিএনপি গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি, সেনা নিয়ন্ত্রণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, রাজনীতি নিষিদ্ধ।

১৬ জুলাই, ২০০৭: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলার পর শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার, সংসদ ভবনের বিশেষ কারাগারে বন্দি।

১১ জুন, ২০০৮: ১১ মাস কারাভোগের পর সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি শেখ হাসিনার।

২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮: নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিজয়।

জানুয়ারি, ২০০৯: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ শেখ হাসিনার।

২৪ জুলাই, ২০০৯: ১৮তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা পুনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত; নতুন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

২৯ জানুয়ারি, ২০০৯: মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিচার শুরু করতে আওয়ামী লীগে প্রস্তাব জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত।

২৮ জানুয়ারি, ২০১০: আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পর বঙ্গবন্ধুর খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর।

২৫ মার্চ, ২০১০: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল তদন্ত সংস্থা গঠন।

৩০ জুন, ২০১১: সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস; ৭২-এর মূলনীতি পুনর্বহাল, বিলুপ্ত হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।

২৯ ডিসেম্বর, ২০১২: আওয়ামী লীগের ১৯তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা সৈয়দ আশরাফ আগের পদে পুনর্নির্বাচিত।

জানুয়ারি, ২০১৪: বিএনপি কয়েকটি বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

১২ জানুয়ারি, ২০১৪: প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার তৃতীয়বার শপথ।

২৩ অক্টোবর, ২০১৬: আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা আবারও সভাপতির দায়িত্ব পান। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা

জানুয়ারি, ২০১৯: চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

২১ ডিসেম্বর, ২০১৯: আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা নবমবারের মতো দলের সভাপতি হন। সঙ্গে ওবায়দুল কাদের টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক।

১৭ মার্চ, ২০২০: সাড়ম্বরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন শুরু।

২৪ ডিসেম্বর ২০২২: আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে শেখ হাসিনা আবারও সভাপতি, ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক।



বিষয়: #



আর্কাইভ