বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর সচল এনআইডি সার্ভার
সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর সচল এনআইডি সার্ভার
ইসির সার্ভার বিভ্রাট
* বুধবার দুপুর ২টার দিকে চালু হয়
* বন্ধ করা হয় ১৪ ডিসেম্বর রাত ১২টায়
* ভোগান্তিতে পড়েন সেবাগ্রহিতারা
* সাইবার হামলার শঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়: এনআইডি মহাপরিচালক
নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভার সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে পুরোপুরি সচল হয়েছে। এর আগে সাইবার হামলার শঙ্কায় ১৪ ডিসেম্বর রাত ১২টায় ইসির এনআইডি সার্ভার বন্ধ করা হয়। এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাইবার হামলার শঙ্কা থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাত ১২টায় এনআইডি সার্ভার বন্ধ করা হয়। যদিও বিষয়টি আগে থেকেই এর সাথে সংশ্লিষ্ট ১৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবে- এমন শঙ্কায় ব্যক্তি পর্যায়ে জানানো হয়নি। আজ দুপুর ২টার দিকে সার্ভারটি আমরা চালু করি।’
এদিকে, গতকাল ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি থাকায় বিষয়টি অনেকের নজরে না এলেও ভোগান্তিতে এনআইডি সেবা গ্রহিতারা। তাদের অভিযোগ, আগে জানালে হয়তো সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হতো না। এনআইডি সার্ভার বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয় ব্যাংক, পাসপোর্টসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কাজ।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, সাইবার হামলার ঝুঁকি এড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। সার্ভারে কোন ত্রুটি আছে কি না এবং ত্রুটি থাকলে তা সারাতে এখনো কাজ করছে ইসির কারিগরি দল। কেউ চাইলেই এই সার্ভারে হামলা করতে পারবে কিনা তা যাচাইসহ যে কোন ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। ভোটারদের তথ্যগুলো ইসির সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।
এনআইডি অনুবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এই সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভাণ্ডারের কোন ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভাণ্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনআইডির তথ্যভাণ্ডারে প্রায় ১২ কোটি ভোটারের কমবেশি ৩০ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য আছে। ১৭১টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইসির এই তথ্যভাণ্ডার থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য যাচাই–সংক্রান্ত সেবা নিচ্ছে।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
বিষয়: #সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর সচল এনআইডি সার্ভার