শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ভোট অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ভোট অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না
২২০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভোট অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না

ইসির সংলাপে বিশিষ্টজনরা

---

# সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সরকারের আশ্বাস পেয়েছি- সিইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণ করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ইসিকে দেয়া  ক্ষমতার বাস্তবায়ন দেখতে চেয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। এদিকে সরকারের তরফ থেকে দেয়া আশ্বাসে আস্থা রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন- জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক কর্মশালায় তারা এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : প্রত্যাশা বাস্তবতাশীর্ষক প্রতিপাদ্যে এই কর্মশালায় অংশ নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনামূলক বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, অধ্যাপক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ দেশের সুধীজনরা। এসময় বক্তারা মাঠ প্রশাসনের যেসব দলীয় কর্মকর্তা আছেন তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। গাইবান্ধা- আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের নির্বাচন কমিশন সরাসরি শাস্তি না দেওয়ায় ইসির সমালোচনাও করেন তারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তারা বলেন, বড় দলগুলোর অংশগ্রহণ না থাকলে ওই নির্বাচন আইনগতভাবে বৈধ হলেও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আর নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার দায়িত্ব ইসি এড়াতে পারে না।

---

অনুষ্ঠানের শুরুতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে ইদানীং বারবার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগে কিন্তু সরকার কখনো এমন প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এই প্রথমবারের মতো সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত আশ্বস্তবোধ করছি। আমি বলব- আস্থা রাখতে চাই।’ সরকার আশ্বস্ত করলেও নির্বাচন নিয়ে সংকটের কথা স্বীকার করেন সিইসি।

সিইসি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাস্তান ও পেশি শক্তি আছে। এর কারণে প্রিজাইডিং অফিসাররা অসহায় হয়ে পড়ে। আমরা নির্বাচন বাতিল করতে পারবো। তবে যার জন্য নির্বাচন বাতিল হবে সে আর নির্বাচন করতে পারবে না। আপনারা জানেন, আমরা জানি, আমাদের দেশে রাজনীতি রাজনীতিক প্রশ্নে বেশ সার্ফলি, তীক্ষণভাবে বিভক্ত। যার ফলে রাজনৈতিক বিতর্ক উপস্থাপন হলে আলোচনাগুলো খুবই ধারালো, আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে। আজকে সেদিকে যাবো না। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা জানতে পারলে কিছুটা ঋদ্ধ হবো। যারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নন, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, তারা বিদগ্ধজন। তাদের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশাটাই আপনাদের মাধ্যমে যতদূর সম্ভব উঠে আসে। প্রত্যাশার বিপরীতে অনুকূল বাস্তবতা, প্রতিকূল বাস্তবতা রয়েছে। পুরো একাডেমিক পয়েন্ট থেকে আলোচনা করলে সুবিধা হবে, আমরা সমৃদ্ধ হবো।

ভোট এবং ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে- আলী ইমাম মজুমদার

আলোচকদের মধ্যে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন আলী ইমাম মজুমদার। এসময় ২০১৪ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আবার করব কিনা-সেই প্রশ্ন রয়ে গেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা এমন নির্বাচন করতে পারব কিনা-যেই নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে পারবে, সব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, দেশের প্রধান বিরোধী দলসহ বেশ কিছু দল বলছে যে, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। পাশাপাশি সরকারে যারা আসিন আছেন তারা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ তারা ক্ষমতায় থাকবেন এবং যে সংসদ আছে, সেই সংসদও বলবৎ থাকবে। এই অবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই জিনিসটা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এটা রাজনীতিকদের সমাধান করতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদের সাবেক এই সচিব আরও বলেন, ‘এখনো আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো দূরদর্শিতার পরিচয় দেবে। নির্বাচন কমিশনের যতটা ক্ষমতা দেওয়া আছে, তার পরিপূর্ণ প্রয়োগ দেখতে চাই। তিনি বলেন, আইনকানুন আমাদের তৈরি। ১৯৯১ সালে সংবিধান রেখেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হয়েছে। মানুষের প্রয়োজনে আইন সংশোধন হতে পারে। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় তাদের বক্তব্য, বৈঠক ইত্যাদির মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করছে। তাদের আমরাই ডেকে এনেছি। যদি আমরা ঠিক থাকতাম তাহলে এমনটা হতো না। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, যদি এবার আমরা ব্যর্থ হই তাহলে এর মাশুল দিতে হবে।’

---

পক্ষপাতদুষ্ট ডিসি, আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে- এম সাখাওয়াত হোসেন

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) . এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জামালপুরের ডিসি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে- এই খবর সব সংবাদপত্রে দেখলাম। এমন ডিসিদের দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনও হবে না। তিনি বলেন, এসব ডিসির বিরুদ্ধে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কী করবেন, কীভাবে কাজ করবেন। এক জেলায় চারজন রিটার্নিং কর্মকর্তা দিয়ে নির্বাচন করাতে পারে। একই ডিসিদের রিটার্নিং করতে হবে বিষয়টি এমন নয়।

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কয়েকদিন আগে মালদ্বীপে নির্বাচন হয়েছে। বড় বড় পর্যবেক্ষক সেখানে ছিলেন। ভোটে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। তিনি বলেন, আপনাদের ওপর আস্থা রাখা কঠিন। আপনাদের হাত-পা বেঁধে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আপনারা একা সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো রাজনৈতিক দলের কথা শুনবেন না। অতীত ভুলগুলো শুধরে নেবেন।

বড় দল অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না জানিয়ে . সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বড় একটি দল যদি নির্বাচনে না আসে, যেই দলটির ৩৩ বা ৩৭ শতাংশ সমর্থক রয়েছে তাহলে সেই নির্বাচন যত ভালো হোক না কেন, তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ওই দলটিকে বাদ দিয়ে আরও তিনশ রাজনৈতিক দল নিয়েও নির্বাচন করলে সেটিকে আপনি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলতে পারবেন না।

সরকার না চাইলে ইসি’র পক্ষে ভালো নির্বাচন সম্ভব না- আবু আলম মো. শহীদ খান

সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, বাস্তবতা আপনাদের (ইসি) অনুকূলে নেই। সরকার না চাইলে কমিশনের পক্ষে ভালো নির্বাচন সম্ভব না। এখনও গাইবান্ধা নির্বাচনে দায়িদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই। কোন দলের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া কর্মকর্তাদের নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে- মো. হুমায়ূন কবীর

সাবেক সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, আমার ধারণা ভীতিকর নিপীড়ক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঢাকার বাইরের অভিজ্ঞতা বলছি, সরকারি দল বা বিরোধী দল বলেন, সবার মধ্যে একটা অজানা আশঙ্কা কাজ করছে সামনে কী হবে? সামনের নির্বাচন কীভাবে হবে? সর্বস্তরে অনিশ্চয়তা আশঙ্কা প্রতীয়মান হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আরপিও নিয়ে কেন ক্ষমতা হারালেন তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। জনগণের ধারণা আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষমতা কমানো হয়েছে। সময় তাকে থামিয়ে সিইসি দাবি করেন, আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমেনি। এটা মোটেও সত্য নয়।বলা হচ্ছে এই নির্বাচন কমিশন আগেই পক্ষপাত করে ফেলেছে সরকারের সঙ্গে। দ্যাট ইজ নট ট্রু। আমরা অতটা কাওয়ার্ড নই। সময় তিনি অভিযোগ করেন, কমিশনের বক্তব্য খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করা হয়। যদিও মাছরাঙা টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা সিইসির ওই বক্তব্যের জবাবে বলেন, সিইসি যেসব বক্তব্য দিয়ে থাকেন তা গণমাধ্যমে হুবহুই প্রকাশিত হয়।

---

নির্বাচনের আগেই লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করুন -ড. তোফায়েল আহমেদ

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা মুখে শুধু বলি নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাবান, কিন্তু বাস্তবে কিছুই নেই। সংকট এত কঠিন যে, সব দায় কমিশনের ওপর দিয়েও লাভ নেই। একের পর এক এমন চলতে থাকলে মানমর্যাদা থাকবে না। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সংশ্লেষ পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে। এই পরিবেশ থেকে উত্তরণে আদালতেরও ভূমিকা আছে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কোর্টের রায়ের ফলে এই সংকট তৈরি হয়েছে।

ড. তোফায়েল আরও বলেন, যার কাজ তাকে করতে হবে। সব দায় কমিশনের উপর চাপিয়ে দিলে হবে না। ভোটের পরিবেশ না থাকলে প্রিজাইডিং অফিসারদের কেন্দ্রে ফেলে চলে আসার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কার ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে সেখান থেকে চলে আসবে? কারো কোনো পাওয়ার নেই, পাওয়ার আছে শুধু সরকারের মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান আমাদের এমনভাবে গ্রাস করেছে যে, ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারছি না। নির্বাচনের সিডিউল সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হবে এই নিশ্চয়তা কে দেবে? নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের কথামত কাজ করা কর্তব্য। কিন্তু কাজ না করলে কি হবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। এই বিষয়ে কিছু নির্দেশনা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

যে কোন মূল্যে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে হবে- সোহরাব হাসান

প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেছেন, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করা। সরকারকে এমন চাপ দেন যাতে সব দল নির্বাচনে আসে। গণতন্ত্র না থাকলে এমন নির্বাচন অর্থহীন। ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছেন, বর্তমানে বাস্তবতা হচ্ছে-নির্বাচন ব্যবস্থা বিশ্বাসহীনতায় রয়েছে। একটা ভালো নির্বাচন হলেই যে সব সমস্যা সমাধান হবে তা নয়। তবে ভালো নির্বাচন সমাধানের সূচনা হতে পারে।

আমাদের দেশের নির্বাচনব্যবস্থা বিশ্বাসহীনতায় ভুগছে- শ্যামল দত্ত

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, বাস্তবতা হলো আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা বিশ্বাসহীনতায় রয়েছে। একটা ভালো নির্বাচন হলেই যে সব সমস্যা সমাধান হবে তা নয়। তবে ভালো নির্বাচন সমাধানের সূচনা হতে পারে।

---

সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সরকারের আশ্বাস পেয়েছি- সিইসি

সভার শেষে সমালোচনার জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বলা হচ্ছে এই নির্বাচন কমিশন আগেই পক্ষপাত করে ফেলেছে সরকারের সাথে। দ্যাট ইজ নট ট্রু। আমরা অতোটা কাওয়ার্ড নই। আমরা একটা কঠিন অবস্থায় আছি। এটা বিলাতের নির্বাচন হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন করতে যাচ্ছি না। সংকট আছে- আপনারা বলেছেন, আমরাও অনুধাবন করি। অনেকগুলো সংকট নিরসন করতে হবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে। নির্বাচন ভালো হবে কিনা-সেটা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আন্তরিক পলিটিক্যাল উইল থাকতে হবে। এই কথাটি আমি বারবার বলেছি। আমাদের যদি অনুকূল পরিবেশ রাজনীতিবিদরা তৈরি না করে দেন, তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচনটা অনুষ্ঠান করা কষ্টসাধ্য হবে। আর যদি অনকূল করে দেন তাহলে আমাদের জন্য সহজ হবে। পলিটিক্যাল উইলটা পলিটিক্স থেকে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি দল বলতে আইনে কিছু নেই। আমরা এটা মুখে বলে থাকি। যখনই একটা সরকার, সরকার হয়ে যায়, সে কিন্তু সকল দলের, পুরো দেশকেই প্রতিনিধিত্ব করে।

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশ্বস্ত বোধ করছি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনটাকে  সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক করতে। সেই প্রতিশ্রুতি কিন্তু সরকার দিয়েছেন। আগে কিন্তু কখনো সরকার সেই প্রতিশ্রুতি দেয় নাই। এই প্রথমবারের সরকারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আইমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী ‘সরকার’ শব্দটা বলেছেন। মাননীয় প্রধানমনন্ত্রীও স্পষ্টভাবে বেশ কয়েকবার বলেছেন। আমি বলবো-আস্থা রাখতে চাই। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা বারবার বলেছি একটা সমঝোতার কথা, আপনারা চায়ের টেবিলে বসেন। কিন্তু যে পলটিক্যাল কালচার এমন হয়েছে কেউ কারো সাথে বসতে চাচ্ছেন না। ইসি এ সমস্যার সমাধান করে না। কমিশন এই বিষয়ে কথা বললে আপনারাই (সুধীজন) বলবেন নাক গলাচ্ছে। 

পর্যালোচনা পর্বে আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ইনডিপেনডেন্ট  টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ সৈকত, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, খবর সংযোগ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জুবায়ের, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার এবং দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক কলাম লেখক মাহবুব কামাল

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের সঞ্চালনায় সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব মোহাম্মদ জাহাংগীরসহ ইসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



বিষয়: #



আর্কাইভ