বুধবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সুষ্ঠু ভোটের জন্য বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আসার আহ্বান ইসি’র
সুষ্ঠু ভোটের জন্য বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আসার আহ্বান ইসি’র
# নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বড় বাধা রাজনৈতিক পরিস্থিতি
# নিবন্ধিত সব দল ভোটে আসবে ইসি’র আশাবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট আয়োজনের জন্য বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে ভোট পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে ভোটের জন্য পরিবেশের অনুকূল কিনা-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাধা-বিপত্তির পরিস্থিতি দেখছি না। শুধু বড় বাধা রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এখনো অনেক সময় আছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেটা আছে সেটা সমঝোতা হতেও পারে। আবার নাও হতে পারে, তখন পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। সে সময় পরিবেশ কী থাকে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো পরিবেশ থাকে, কি না থাকে সেটা তো এখনই বলতে পারবো না। সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দেখা যাক।‘
তিনি আরো বলেন, ‘সংকট সমাধানে দরকার বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা। দেশ ও জাতিগতভাবে আমরাও চাইবো যেন সমঝোতা হয়। সমগ্র দেশিবাসী চায় সমঝোতা হোক। কারণ কেউ আশঙ্কার মধ্যে থাকতে চায় না, যে আগামী দিনে কী হবে। আমরা নি:সংকোচ চিত্তে থাকতে চাই যে রাজনৈতিক সমঝোতা হবে। এটা দেশ ও জাতির জন্য ভালো। আমরা আমাদের কাজ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন রাজনৈতিক বিষয়টি তো আমাদের মধ্যে আসে না। তবে আমাদের কাজ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, কোন কিছুতেই ঘাটতি নেই।’
দলগুলোর উদ্দেশ্যে ইসি আনিছুর বলেন, ‘আমাদের আবেদন থাকবে নিবন্ধিত ৪৪টি দল, সবাই যেন ভোটে অংশগ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি নয়, ছোট-বড় দল নয়; সকলের প্রতিই আমাদের এই আহ্বান। সেই পরিবেশ যেন সৃষ্টি করে সবাই যেন নির্বিঘ্নে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। সেই আহ্বান আমার ব্যক্তিগত এবং কমিশনের আহ্বান যে, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। কারণ রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল না হলে ভোটের পরিবেশ ঠিক হয় না। ভোটের আগে পরিস্থিতি কখন কী হবে এখন তো বলতে পারছি না। ভোটারদের নিরাপত্তার কথা দলগুলোরও ভাবা উচিত। আমরা আশা করি রাজনৈতিক অস্থিরতা সমাধান হয়ে যাবে। আমরা চাই তারা একটা সমঝোতার প্রক্রিয়ার মধ্যে যাক, দেশ ও জাতির চিন্তা করে। আমরা পেছনের দিকে যেতে চাই না। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। এগিয়ে যাওয়ার জন্য যে পরিবেশ সৃষ্টি করা দরকার, সেটা সকলের দায়িত্ব। আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব আরো বেশি। তারা মাঠে থাকবে, তাদের জনগণের কথাও চিন্তা করা উচিত। দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করা উচিত।’
ভোটারদের কী বার্তা দেবেন ভোটের-আগে পরে পরিবেশ শান্ত রাখার বিষয়ে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গেলে কেউ বাধা দিতে পারবে না, এটা আমরা প্রচার প্রচারণা করে থাকি। এনআইডি থাকলে কেউ ভোটার হয় না; তফসিলে পূর্বে, পরে ভোটের আগে-পরে করণীয় ইত্যাদি প্রচার করে থাকছে আমাদের। ভোটের পরেও আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য ১৫ দিন যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকে সেই প্রস্তাব রেখেছি। প্রয়োজনে সেটাও ব্যবহার করা হবে।
কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের কারণে তফসিল ঘোষণা কী ১২ নভেম্বরের পরে যেতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তফসিল আমরা যথাসময়েই দেবো। যথেষ্ট সময় আছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের কথা বলেছিলাম আমরা, সেটা যে প্রথম সপ্তাহেই স্ট্রিক্ট থাকতে হবে, এমন নয়। তবে নভেম্বরের কোনো একটা সময় দেবো। সরকারের বিষয়টা আমরা জানি না। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেবো। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করা ছাড়া আমাদের কোনো গতান্তর নাই। নির্বাচন না হলে কী সেটাও আপনারা জানেন। কা্জেই এটা আমরা এখনই বলতে পারবো না। বাধা বা কোনো কিছু সৃষ্টি হলো তখনই আমরা বলতে পারবো। আসলে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।’
বিষয়: #সুষ্ঠু ভোটের জন্য বড় দলগুলোকে সমঝোতায় আসার আহ্বান ইসি’র