শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
শনিবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ভোট ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনী অ্যাপস যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে: ইসি আহসান হাবিব খান
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ভোট ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনী অ্যাপস যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে: ইসি আহসান হাবিব খান
১৩৭ বার পঠিত
শনিবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভোট ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনী অ্যাপস যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে: ইসি আহসান হাবিব খান

বিশেষ প্রতিবেদন

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান


# প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর ভোট গ্রহণের হার জানাবে নির্বাচনী অ্যাপ

শাহনাজ পারভীন এলিস


জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন সব ধরনের প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এই নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সহজ ও আধুনিকীকরণ করতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ইসি’র নির্বাচনকেন্দ্রিক- অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ/নির্বাচনী মোবাইল অ্যাপস। আগামীকাল রবিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে এই পদ্ধতি দুটি উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচনকালীন সময়ের সবচেয়ে জটিল ও ঝামেলাপূর্ণ এই কাজকে সহজ করে আনতে ভূমিকা রাখবে- ‘অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম’। আর নির্বাচনের সময় জনসাধারণ ও ভোটারদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ডিজিটালি সরবরাহ করবে- ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ/নির্বাচনী অ্যাপ’।

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় এই অ্যাপস এবং ওএনএসএস কী ধরনের পরিবর্তন আনবে তা জানতে কথা হয় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের সঙ্গে। স্বদেশভূমিকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ভোটারের গুরুত্ব অপরিসীম; ভোটার তথা জনগণের আস্থা/বিশ্বাস গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চালিকাশক্তি নির্বাচনি ব্যবস্থা্র মূল ভিত্তি। তাই প্রযুক্তিনির্ভর ভোট ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় ছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তিনির্ভর এই দুটি সিস্টেমকে আমি বলবো ইসি’র যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাপনাও স্মার্ট বাংলাদেশ যুগে যুক্ত হলো’। তিনি জানান, এ দুটি সিস্টেম আজ উদ্বোধন করা হলেও সবার জন্য তা উন্মুক্ত করা হবে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর।

ইসি আহসান হাবিব জানান, ‘নির্বাচনী অ্যাপস-এর সাহায্যে প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর চলমান ভোটিং কার্যক্রমের আপডেট তথ্য জানা যাবে। জানা যাবে নির্বাচনি ফলাফলের সার্বিক অবস্থা। এছাড়া, ‘ফলাফল বিশ্লেষণ’ নামক অপশনের মাধ্যমে একজন ভোটার পূর্বতন নির্বাচন এবং বর্তমান নির্বাচনের ফলাফলের গ্রাফিক্যাল বর্ণনা পাবেন।

এর মাধ্যমে খুব সহজে ঘরে বসেই সঠিক তথ্য উপাত্ত ও প্রয়োজনীয় দলিলাদি দিয়ে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেবেন। এর ফলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শো ডাউন, মিছিল করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা রোধ হবে। এছাড়াও নেমিনেশন জমা দানে বাধা দেয়া অথবা প্রত্যাহারের জন্য প্রার্থীকে চাপ দেওয়া কারো পক্ষে সম্ভব হবে না। সংসদ নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় সরকারেরর যে কোনো নির্বাচনে মনোনয়ন জমাসহ নির্বাচনী সেবা সহজতর হবে।

অ্যাপসেই জানা যাবে প্রার্থীর নির্বাচনী হলফনামা, ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য, নির্বাচনী তথ্য। পাশাপাশি তার ভোটার এলাকা/নির্বাচনি আসন, ভোটকেন্দ্রের নাম জানতে পারবেন এবং ভোটকেন্দ্রের ছবি, ভোটকেন্দ্রের ভৌগলিক অবস্থান (ম্যাপসহ) দেখতে পাবেন। থাকবে বিভাগওয়ারী আসন সমূহের তথ্য; যেমন- মোট ভোটার, মোট আসন, আসনের প্রার্থীগণ, প্রার্থীগণের বিস্তারিত তথ্য (হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্য, নির্বাচনি ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী) জানতে পারবেন। এছাড়া, অ্যাপসটির মাধ্যমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের তথ্য জানা যাবে এবং সমসাময়িক তথ্যাবলী ‘নোটিশ’ আকারে প্রদর্শিত হবে’।

প্রার্থীরা কী ধরনের সুবিধা নিতে পারবেন জানতে চাইলে ইসি আহসান হাবিব জানান-


এই অ্যাপস এর মাধ্যমে একজন ভোটার ঘরে বসে তার ভোটার নম্বর জানতে পারবেন। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নিশ্চিতভাবে ভোটারকে সময়ের অপচয়, বিড়ম্বনা এবং কিছুক্ষেত্রে, ‘হয়রানি’ হতে রক্ষা করবে।

ভোটার নম্বর জানা থাকার কারণে ভোটার তালিকায় সিরিয়াল নম্বর সহজে নির্ণেয় হবে, এজন্য কোন রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পেইনের শরনাপন্ন হতে হবে না। একজন প্রার্থী তার বিস্তারিত তথ্যের (হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্য, নির্বাচনি ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী) মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ভোটার তথা জনগণের কাছ পৌঁছাতে পারবেন।

অ্যাপস থেকে একজন ভোটার প্রার্থীদের তথ্যাবলী বিশ্লেষণ করে পছন্দসই প্রার্থী বেছে নিতে পারেন।

ভোটার তার নির্বাচনি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা জানতে পারবেন, যাতে করে চূড়ান্ত ফলাফলে ভোটসংখ্যা সংক্রান্ত কোন বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব আরও বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে এসব তথ্যভিত্তিক সুবিধা থাকার কারণে ভোটারদের স্বতঃস্ফর্ত অংশগ্রহণ নির্বাচনে প্রধান অনুঘটকের কাজ করবে। নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য সম্পর্কে সহজে অবহিত হওয়া, তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, সমসাময়িক ফলাফলের পাশাপাশি নির্বাচনি ফলাফল জ্ঞাত হওয়ার মতো বিষয়সমূহ ভোটারদের উদ্দীপ্ত করবে- বলে আশা করা যায়’।

এছাড়া, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকার কারণে প্রার্থীগণও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন হবেন। সর্বোপরি, আধুনিক এই প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা নির্বাচনের প্রধান অনুষঙ্গ- ভোটার, প্রার্থী, জনগণ এই তিনের আস্থা/বিশ্বাস অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার দিকে অগ্রগামী হবে; আর সার্বিক বিষয়াবলী নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে সহজ, বিশ্বাসযোগ্য করবে।


ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার ১০ বছর মেয়াদি এই পদ্ধতি চালু করতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। যার মধ্যে সফটওয়্যারের পেছনে ৯ কোটি ১১ লাখ এবং হার্ডওয়ারের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।



বিষয়: #



আর্কাইভ