মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০২৪
প্রচ্ছদ » জাতীয় » এনআইডি সেবাদানে কাউকে হয়রানি না করার নির্দেশ সিইসির
এনআইডি সেবাদানে কাউকে হয়রানি না করার নির্দেশ সিইসির
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিতে আসা নাগরিক যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, জনগণ আসলে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে যেন দেরি না হয়। তাদের সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার করা না হয়।
সোমবার (১০ জুন) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন নির্দেশনা দেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইটিআই মহাপরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে এনআইডির গুরুত্ব এখন অপরিসীম। আমাদের ভোটার তালিকাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাইজ হয়ে গেছে। এনআইডি এখনও শতভাগ সেটেলড ডাউন হয়েছে, এটা আমার কাছে মনে হয় না। অনেকে কমপ্লেইন করেন যে, পরিবর্তন, সংশোধন করতে হবে। আবার সংশোধনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা আবেদনকারী— তাদের কারণে ভুল হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমি যখন লিখছি, তখন সঠিকভাবে লিখছি না। কিছু সংকট আমাদের রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এনআইডি ব্যবস্থাপনা অনেক জটিল। আমি সেটা বুঝি না। তবে জনগণ এলে তাকে সেবা দিতে যেন দেরি না হয়। আমি সরকারি কর্মচারী। যেন হয়রানি না করি, দুর্ব্যবহার না করি, সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পরে অনেকের স্বামীর নাম পরিবর্তন করতে হয়। কোনও কোনও দেশে এটা অপরিহার্য হিসেবে প্রয়োজন হয়। তাই স্বামীর নামটা অরিজিনাল থাকা উচিত। তাহলে বিড়ম্বনা হবে না।’
সিইসি বলেন, ‘আমি জানি, স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না। তবে অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয়৷ আমার হয়তো অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না। কিন্তু বস্তিতে থাকেন, ঘন ঘন অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে কি এনআইডি সংশোধন করতে পারবো? সে দিকটাও দেখতে হবে।’
বেওয়ারিশ মরদেহ শনাক্তকরণ, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে এনআইডি’র ব্যবহার হচ্ছে। এটা আধুনিক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছে বলেও জানান তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রায়ই শুনি এ ওর নাম নিয়ে ভিন্ন পরিচয় ধারণ করে এনআইডি নিয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছে৷ অনেকে বাবার নাম পরিবর্তন করে চাচার নাম নিয়ে সহায়-সম্পত্তি দখল করে ফেলছে। গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে কোনও একটি উপায় বের করতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ১০টি দেশের নাগরিক হন এবং বাংলাদেশের নাগরিক হন— তাহলেও তিনি এনআইডি পাবেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের অজুহাতে কাউকে এনআইডি দেওয়া থেকে বাদ রাখা যাবে না। যদি সে কোনোভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হন, সনদের প্রয়োজন নেই, তাকে এনআইডি দিতে হবে।’
সিইসি/এলিস
বিষয়: #সিইসি