শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
সোমবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » গাইবান্ধার ভোট বন্ধ করে ইসি কোন চাপে নেই: সিইসি
প্রচ্ছদ » জাতীয় » গাইবান্ধার ভোট বন্ধ করে ইসি কোন চাপে নেই: সিইসি
২১৮ বার পঠিত
সোমবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গাইবান্ধার ভোট বন্ধ করে ইসি কোন চাপে নেই: সিইসি

বিশেষ প্রতিনিধি

অনিয়ম এড়াতে গাইবান্ধায় ভোট বন্ধের পর রাজনৈতিক মহলে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হলেও সে বিষয়ে ইসি কোন চাপ অনুভব করছে না বল জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনিটরিং সেল পর্যবেক্ষণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ করেছি। এ নিয়ে আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না।’ জেলা পরিষদ নির্বাচনে একই চিত্র দেখতে পেলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আগাম কিছু বলতে পারছি না। আর এটা একটা ভিন্ন ধরনের নির্বাচন। এ বিষয়ে এককভাবে আমি কিছু বলতে পারবো না যে, কালকে কী করব বা আরও কী হবে।’ সিইসি আরও জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনের সব কেন্দ্র ও কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে তা মনিটরিং করা হবে।

সিইসি বলেন, ‘ঢাকার নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেল থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরায় মাঠের ভোট পর্যবেক্ষণ করে ইসি। সিসিটিভির প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আমরা এটার মাধ্যমে এখান থেকে নির্বাচন মনিটরিং করতে পারি। এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো উদ্যোগ। আমরা কিন্তু কোন পক্ষ নই। আর এই সিসিটিভি দেখে আমরা ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছি। ভোটাররা ভোট দিতে পারছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার যেন ভোটটা দিতে পারেন সেটা নিশ্চিত করা।’

এদিকে, জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার প্রশ্নে কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন- ‘গাইবান্ধার নির্বাচনের মতোই আগামীকালের জেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা সিসিটিভি স্থাপন করে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলছি। জাতীয় নির্বাচনে ৪২ হাজার কেন্দ্র ও ৪ লাখ বুথ থাকে। সেটা মনিটরিং করা সম্ভব। এটা আমাদের অনেক বড় আকারে করতে হবে। অনেক লোক নিয়োগ দিতে হবে। তখন মনিটরিংয়ে আমরা পাঁচজন নয়, আরও অনেক লোক থাকবে। আমাদের সচিবালয়ের কর্মকর্তারা আছেন। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা সবাই মিলে মনিটরিং করবেন।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের ভোটগ্রহণও কমিশন কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই নানা অনিয়মের কারণে একের পর এক কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে ইসি। দুপুর নাগাদ এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে। শেষ পর্যন্ত ভোটগ্রহণে ব্যাপক অনিয়মের পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ভোট শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগেই পুরো সংসদীয় এলাকার ভোট বন্ধের ঘোষণা করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এর আগে বেলা দেড়টার মধ্যে ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর নিয়ম অনুযায়ী ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।



বিষয়: #



আর্কাইভ