শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সাবেক সহকর্মীদের পরামর্শ নিতে ফের বৈঠকে বসছেন সিইসি
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সাবেক সহকর্মীদের পরামর্শ নিতে ফের বৈঠকে বসছেন সিইসি
২৪২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাবেক সহকর্মীদের পরামর্শ নিতে ফের বৈঠকে বসছেন সিইসি

 

---

বিশেষ প্রতিনিধি

গাইবান্ধা উপনির্বাচনের মাঝপথে ভোট বন্ধের ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনের সাবেকদের পরামর্শ নিতে আবারও আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গতকাল সোমবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সাবেক সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বর্তমান কমিশনের এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনেই এ মতবিনিময় সভা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কমিশন মনে করে এ পর্যায়ে পুনরায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য আরও নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এর আগে সবশেষ গত জুনে সাবেক সিইসি ও নির্বাচন কশিমনাদের সঙ্গে বৈঠক করে হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসি। ওই সভায় অংশগ্রহণমূলক ভোটের বিষয়ে পরামর্শ দেন নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তারা।
দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্তমান কমিশন ইভিএমে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের কিছু নির্বাচন করেছে। সিটি ও পৌর নির্বাচনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার জেলা পরিষদের নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ইভিএমে ভোট হয়েছে দেশের ৫৭ জেলায়।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ নির্বাচন ছিল গত বুধবার। ও নির্বাচনে ১৪৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছিল।
সবগুলো কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল ভোটের পরিস্থিতি। সেখানে নানা অনিয়মের ঘটনা সরাসরি দেখে দুপুরের মধ্যেই অর্ধশত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। বেলা আড়াইটার দিকে পুরো নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান সিইসি আউয়াল।
সাত মাস বয়সী বর্তমান ইসির অধীনে এটাই ছিল কোনো সংসদীয় আসনের প্রথম নির্বাচন। আর সেখানেই মাঝপথে পুরো আসনের ভোট বন্ধের নজিরবিহীন এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ পরিস্থিতিতে ‘বিভ্রান্তি’দূর করতে’ ভোট বন্ধের পরদিন বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেসময় তিনি বলেন, ‘আমরা হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। এই সিদ্ধান্ত সিইসি গ্রহণ করেনি, কমিশন গ্রহণ করেছে। সিইসি কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে গ্রহণ করেন না; করতেও পারেন না।’
দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক সেরেছে ইসি। মহানগর আর জেলা সদরের দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের পাশাপাশি প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরায় নজরদারির লক্ষ্য ঠিক করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনাও প্রকাশ করা হয়েছে।
গত জুনের মতবিনিময় সভায় সাবেক সিইসি, ইসি ও কর্মকর্তাদের অন্তত ২৮ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বৈঠকে অংশ নেন দশজন। তারা হলেন- সাবেক সিইসি আব্দুর রউফ, এটিএম শামসুল হুদা, কে এম নূরুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কশিমনার মাহবুব তালুকদার, মো. শাহনেওয়াজ, মোহাম্মাদ আবু হাফিজ, সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মাদ সাদিক, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমান সেবার বর্তমান ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিলেন।



বিষয়: #



আর্কাইভ