শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
বুধবার ● ১৯ অক্টোবর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » শেখ রাসেল: একটি স্বপ্নের মৃত্যু
প্রচ্ছদ » জাতীয় » শেখ রাসেল: একটি স্বপ্নের মৃত্যু
২৪৭ বার পঠিত
বুধবার ● ১৯ অক্টোবর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শেখ রাসেল: একটি স্বপ্নের মৃত্যু

---

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলকে হত্যা একটি স্বপ্নের মৃত্যু- এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। কারণ ১৯৭৫ সালে ১১ বছরের ওই শিশুকে নিষ্ঠুর হত্যার মধ্য দিয়ে শুধু তার জীবনকেই কেড়ে নেয়নি ঘাতকরা, ধ্বংস করেছে তার সকল অবিকশিত সম্ভাবনা। শেখ রাসেল সেনা কর্মকর্তা হতে চেয়েছিল। সেই স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা এসব বলেন।
বুধবার সন্ধ্যায় শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১১ বছরের শিশু চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃন্যতম অপরাধ করেছে। সকল শিশু তাদের স্বপ্ন ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পাবে আজকের দিনে আমাদের এই অঙ্গীকার। তাহলে এই শিশুরা বড় হয়ে আলোকিত মানুষ হবে।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে ৮২ ব্যাচে শেখ রাসেলের সহপাঠী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্কুলের সকলের কাছেই প্রিয় ছিল শেখ রাসেল। সবাই তাকে পছন্দ করতো। রাষ্ট্রপতির ছেলে হিসেবে নয়, সকলের জন্য তার সহানুভূতি ছিল সে কারণে। ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল। এখনও রাসেলকে স্মরণ করি আমরা। তার নামে স্কুলে একটি স্মৃতিফলক আছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেখানে যেতেন শেখ রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। আজেকে শেখ রাসেল থাকলে তার জন্মদিন জাঁকজমকভাবে উদযাপন করতে পারতাম। ১৭৯১ সালের পরাজিত শক্তি অন্তঃসত্তা নারী-শিশুদেরও তাদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই দেয়নি। হত্যার নেপথ্যের কারিগরদের জানাই ঘৃণা-ধিক্কার। আশার কথা হলো, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বের করে এনেছেন। মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার ধারায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শেখ রাসেলের মতো আর যেন কোনো শিশুর মৃত্যু না হয়। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিপক্ষে যারা অতীতে নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে তারা এখনও তৎপর। তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ১৫ আগস্ট এক জঘন্য নির্মমতার শিকার শেখ রাসেল। আজ যারা মানবাধিকারের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু যেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন কোথায় ছিলেন তারা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল। তিনি বলেন, দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ১৫ আগষ্টের হত্যাকাণ্ড ঘটায়। রাসেল হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। আমাদের আকাঙ্খা ঘাতকদের সকলের বিচার সম্পন্ন হবে একদিন। সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি অশুভ অপশক্তি যে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে তা মোকাবিলা করতে হবে সম্মিলিতভাবে।
জন্মদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি এম মনসুর আলী, মো. হারুনুর রশিদ, মো. আওরঙ্গজেব, বিনয় ভূষণ তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস. এম. ওয়াহিদুজ্জামান (মিন্টু), নির্মল বিশ্বাস, আফসা আহমেদ সানু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. আসিফ আবেদীন, আবদুল্লাহ আল আমিন রঞ্জন, প্রচার সম্পাদক প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম খান, দপ্তর সম্পাদক এ কে এম ওবায়দুর রহমান, যুব ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান খান, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক নূর ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকন, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আওয়াল হোসেন ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজান ইবনে হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলাবাগান থানা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, নড়াইল জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল জাবেদ, পুবালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী মাহতাবুল হক, সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী এনামুল হক, প্রকৌশলী মশিউর রহমান, মো. ওহিদুর রহমান, লায়ন শোয়েব উদ্দিন সোহেল, দারুস সালাম থানা কমিটির আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন।



বিষয়: #



আর্কাইভ