শনিবার ● ২২ অক্টোবর ২০২২
প্রচ্ছদ » গণমাধ্যম » উদযাপিত হলো জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উদযাপিত হলো জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উৎসবমুখর নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ১০দিন ব্যাপি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ভোরে মিনি ম্যারাথন, সকাল ৯টায় পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৈশভোজ ও র্যাফেল ড্রসহ নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেক কাটেন ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা। এ সময় ভারত থেকে আসা চার সাংবাদিকসহ প্রেসক্লাবের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মাইকে বেজে ওঠে ‘জাতীয় প্রেস ক্লাব আমাদের সেকেন্ড হোম’ গান।
নবীন-প্রবীণ সদস্যের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। এসময় তিনি উপস্থিত ও অনুপস্থিত সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমরা সারাবছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। এদিন আমাদের অত্যন্ত আনন্দের দিন। এছাড়া প্রেসক্লাব আমাদের সেকেন্ড হোম। সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার এই প্রেসক্লাব। এসময় তিনি প্রেসক্লাবে প্রয়াত সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এসময় তিনি ক্লাবের সদস্যদের সুখবর জানিয়ে বলেন, প্রেসক্লাবের বহুতল ভবনের নির্মাণ নকশা সম্পন্ন করা হয়েছে। ২১ তলা ভবনের ডিজাইন নিয়ে স্থাপত্যে অধিদপ্তর কাজ করছে। এসময় তিনি বহুতল ভবনের জন্য আর্থিক সহযোগিতার আহবান করেন। ইতোমধ্যে সদস্যদের জন্য গ্রুপ ইন্সুইরেন্স করা হয়েছে। এছাড়া ফিটনেসের ও ইয়োগা সেন্টার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। এসময় তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এটাকে গণতন্ত্রের তীর্থস্থান ও বলা হয়। নানা মতের মানুষ এই প্রেসক্লাবের সদস্য। আমাদের একটি বিষয়ে ঔক্য রয়েছে সেটি হচ্ছে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের কল্যাণ। এসময় তিনি প্রেসক্লাবের সদস্যদের আগত পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি প্রয়াত সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এসময় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ছয়জনকে অনারারী জীবন সদস্য সম্মাননা দেয়া হয়। তারা হলেন প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আমান উল্লাহ,মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, সৈয়দ কামাল উদ্দিন, এস এম হাবিবুল্লাহ,শ্রী মৃণাল কৃষ্ণ রায়।
এছাড়া ভারত থেকে আগত ৪ অতিথিদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তারা হলেন প্রেসক্লাবে অফ ইন্ডিয়া সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিরি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহয়া চ্যাটার্জি, আগরতলা প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার ও ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়ন এর প্রেসিডেন্ট গীর্তাথ পাঠক।
সমাপনী অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তরুণ-প্রবীণ সাংবাদিকদের মিলনমেলা। প্রেসক্লাবে সদস্যদের মিলনমেলায় সতীর্থদের হারিয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর একে অপরের দেখা পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। মূল অনুষ্ঠানের বাইরেও ছোট ছোট দল হয়ে আড্ডায় মেতেছিলেন প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। ভারতের সাংবাদিক নেতাদের উপস্থিতি আড্ডা আর জমেছে।
এদিনটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আলোকসজ্জায় সাজানো হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিল্পী শুভ্র দেব, ফাহমিদা নবী, ব্যান্ড জলের গান। নৃত্য পরিবেশন করেছেন নৃত্যাঞ্চলের শিবলী মোহাম্মদ, শামীম আরা নীপা ও সহশিল্পীবৃন্দ। পরে র্যা ফল ড্র ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
১০ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানমালায় যা যা আয়োজন ছিল- প্রেসক্লাবের প্রয়াত ১৬ জন সদস্য স্মরণে সভা; পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা; ক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে দাবা প্রতিযোগিতা; এয়ারগান প্রতিযোগিতা; স্পেড ট্রাম্প প্রতিযোগিতা; নারী সদস্যদের লুডু প্রতিযোগিতা; শিশু আনন্দমেলা এবং টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান।এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সংবর্ধনা, আন্তর্জাতিক সেমিনার, সদস্যদের মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৈশভোজ ও র্যা ফেল ড্র অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানমালায় আরও ছিলো- ভোরে মিনি ম্যারাথন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা, অনারারী জীবন সদস্য সম্মাননা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যা ফেল ড্র। সকালে মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষ মোট ৭টি গ্রুপে ২ শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।
বিষয়: #জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী