বৃহস্পতিবার ● ৩ নভেম্বর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » রংপুর সিটিতে ভোট ২৭ ডিসেম্বর
রংপুর সিটিতে ভোট ২৭ ডিসেম্বর
# ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে, সব কেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি
বিশেষ প্রতিনিধি
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) ভোটের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার রংপুর সিটির সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএমে। আর ভোটের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণে সব কেন্দ্রে স্থাপন করা হবে সিসি ক্যামেরা, যা ঢাকার নির্বাচন ভবন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সভাশেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। গত বুধবার কমিশনের সচিব হিসেবে নতুন দায়িত্ব যোগদানের পর এটি ছিলো তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে ইসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোটের তারিখ ঘোষণা করলেও সম্পূর্ণ তফসিল এখন চূড়ান্ত হয়নি, তা পরে জানানো হবে। এদিকে কমিশনের সভায় ৫টি পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ ও শূন্য আসনের উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব নির্বাচন আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভাসমূহ হলো- রাজশাহী বাঘা, দিনাজপুরের বিরল, পঞ্চগড়ের বোদা, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা এবং নাটোরের বনপাড়া। এসব পৌরসভার ভোটেও সিসি ক্যামেরা থাকবে। একই দিনে বেশকিছু ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে।
সর্বশেষ রংপুর সিটিতে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু কোন সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোন সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রংপুর সিটিতে নির্বাচনের সময় গণনা গত ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোট হতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। সেসময় তিনি জানান, রংপুরের ভোটেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ও সিসিটিভি ব্যবহারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় তদন্ত কমিটির জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় খুব শিগগিরই আরও একটি সভা করবে নির্বাচন কমিশন। তবে সভার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান কমিশন সচিব। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ২৭ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেন। একই সাথে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের সুপারিশ করা হয়েছে।
অশোক কুমার আরও জানান, ওই ভোটের দিনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে তারা কথা বলেছেন, ৬২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তদন্তকালে কমিটি সিসি ক্যামেরায় চিহ্নিত করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বহিরাগত ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও বক্তব্য নেয়া হয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনার জন্য দায়ী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের মধ্যে গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরায় অনিয়মের ঘটনা দৃশ্যমান হওয়ায় দুপুরে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। পরে অনিয়মের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে নির্বাচন কমিশন। ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন ইসিতে জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
বিষয়: #রংপুর সিটিতে ভোট