শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » দলীয় পদ ফিরে পেতে ডা. মুরাদের ক্ষমা প্রার্থনা
প্রচ্ছদ » জাতীয় » দলীয় পদ ফিরে পেতে ডা. মুরাদের ক্ষমা প্রার্থনা
২৭৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দলীয় পদ ফিরে পেতে ডা. মুরাদের ক্ষমা প্রার্থনা

---
নিজস্ব প্রতিবেদক
নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পর অডিও কেলেঙ্কারির ঘটনায় মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান নিজের কৃতকর্মের জন্য সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমার আবেদন জানিয়ে দলীয় পদে আবার সক্রিয় হওয়ার আকুতি জানিয়েছেন জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের এই সংসদ সদস্য। পদ ফিরে পেলে দলের সম্মানহানি হয় এমন কাজ করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।  বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের প্যাডে ডা. মুরাদ হাসান এই আবেদন করেন।

আবেদনের অনুলিপি দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকেও দেওয়া হয়েছে। আবেদনে ডা. মুরাদ লিখেছেন- আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে ৭ ডিসেম্বর উক্ত পদ থেকে আমোকে অব্যাহতি প্রদান করে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ় প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করিতেছি যে, ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সন্মানহানি হয়। অতএব বিনীত নিবেদন এই যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন।

বিতর্কিত মন্তব্য ও নারীদের নিয়ে অশোভন বক্তব্য দিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান ডা. মুরাদ হাসান। ঢাকাই সিনেমার এক শীর্ষ নায়িকার সঙ্গে তার অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও মুরাদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে তিনি সংসদ সদস্য পদে বহাল আছেন। বর্তমানে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য।

ড. মুরাদ হাসান ১৯৯৪ সালে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগে আসেন ১৯৯৮ সালে। ২০০০ সালে তিনি ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি হন। ২০০৩ সালে তিনি আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলা শাখার সদস্য, ২০১৪ সালে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০১৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন।

মুরাদ হাসান ২০০৮ সালের নবম এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। ২০১৯ সালের ১৯ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।



বিষয়: #



আর্কাইভ