শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
সোমবার ● ৯ জানুয়ারী ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » এনআইডি স্থানান্তরে ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
প্রচ্ছদ » জাতীয় » এনআইডি স্থানান্তরে ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
২৪২ বার পঠিত
সোমবার ● ৯ জানুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

এনআইডি স্থানান্তরে ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

---

* কমিশনের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

* এনআইডি স্থানান্তরে ইভিএমে ভোটে বিঘ্ন ঘটবে না

শাহনাজ পারভীন এলিস

জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- যেখানেই থাকুক না কেন এ বিষয়ে ইসির অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ সরকারের কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া এনআইডি স্থানান্তরে ইভিএম ব্যবহারে কোন ঝামেলা হবে বলেও তারা মনের করছেন না। এ বিষয়ে আর্থিক ব্যয় ও জনবলের বিষয়ও সরকারকে বিবেচনায় নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। এদিকে, এনআইডি কার্যক্রম ইসিতে রাখা যুক্তিযুক্ত মনে করলে সে ব্যাপারে সরকারকে অনুরোধ করবে কমিশন। আর সেই সিদ্ধান্ত আগামী এক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ইভিএমে ভোটগ্রহণ ব্যবস্থায় এনআইডি ও ভোটার নম্বর ব্যবহার বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে এই আলোচনায় অংশ নেন- শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক হায়দার, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও অধ্যাপক কায়কোবাদ।

আলোচনা সভা শেষে শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক সবগুলো একেবারে আইডেন্টিক্যাল হতে হবে। এতে দ্বিমত নাই। আর তা না হয় তবে এটা হাস্যকর হয়ে যাবে। এখন এটা কমিশনে আছে না অন্য কোথাও আছে, এটা মেটার করে না। কাজেই ভোটার তালিকার যে ডাটা নেওয়া হয় সেটা থেকেই এনআইডি হয়। এখন ইভিএম হবে কি হবে না সেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়েছে যে এই ডাটাগুলো অন্য কোথাও থাকলে ইভিএম ব্যবহারে কোনও ঝামেলা হবে কি না। টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে তো ঝামেলা হওয়ার কথা না। প্রয়োজনে ডাটাবেজ অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ার করতে করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ’

---

অধ্যাপক হায়দার বলেন, ‘মালিকানা হচ্ছে রাষ্ট্র। সরকারই টাকা দিয়ে এটা (এনআইডি) তৈরি করেছে। টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে ইতিবাচক, নেতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত কমিশন বা সরকার নেবে। তারা আরও জানবেন বিষয়টা। তারপর তারা আলোচনা করে বিষয়টা সিদ্ধান্ত নেবে তারা। ডাটাবেজ একটা জায়গায় থাকবে। কোনও কোনও দেশে কমিশনের কাছে আছে। কোন কোন দেশে সরকারের কাছে আছে। আমরা কোনটাই জোর দিইনি, কার কাছে থাকা উচিত।’

ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘এনআইডি ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক, ইউনিক থাকলে তা নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। টেকনিক্যাল ফিচারগুলো যদি সঠিক থাকে, ঠিকভাবে ম্যানেজ হয় যার কাছেই থাকুক কোন সমস্যা নেই। সন্দেহের কিছু হবে না। দেশের বড় সম্পদ। সুষ্ঠুভাবে মেইনটেন হোক আমরা সেটাই চাই।’

অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, ‘রাষ্ট্রে আমরা ব্যয় সাশ্রয় করি এবং কমিশনের এই বিষয় অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক সময় একটি কাজ সুষ্ঠুভাবে চলা অবস্থায় অন্য জায়গায় নিলে নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয়ে; কারণ কো-অর্ডিনেশনে আমরা মোটেই ভালো না। যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজটা হয় এটাই আমরা চাই। ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়া উচিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি ১৮ নিচে এনআইডি দেয়, এতে ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার হয়ে যাবে। আর নির্বাচন কমিশন চাইলে সেটা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করে নিতে পারবে। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে এনআইডি কার কাছে থাকবে সেটা কমিশন এবং সরকার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে যেসব মতামত এসেছে তা নিয়ে কমিশন বৈঠকে আলোচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক্ষেত্রে এনআইডি ইসিতে রাখার ব্যাপারে যৌক্তিকতা যাচাই করা হবে। এক্ষেত্রে প্রাধান্য পেলে প্রয়োজনে ইসিতে এই কার্যক্রম রাখাতে সরকারকে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা চলছে বহুদিন ধরে। সম্প্রতি সরকার ইসির কাছ থেকে এনআইডি সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিলে তা নিয়ে নানা মহল থেকেই প্রশ্ন উঠছে। অনেকের ধারণা এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে গেলে ইভিএমে ভোটগ্রহণে সন্দেহ ও ঝামেলা বাড়তে পারে। এছাড়া বাড়তে পারে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, বিড়ম্বনা।

ক্যাপশন:

গতকাল রোববার সকালে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ইভিএমে ভোটগ্রহণ ব্যবস্থায় এনআইডি ও ভোটার নম্বর ব্যবহার বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা।



বিষয়: #



আর্কাইভ