শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়তে পারে ৬ মাস থেকে এক বছর: প্রকল্প পরিচালক
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়তে পারে ৬ মাস থেকে এক বছর: প্রকল্প পরিচালক
২৩২ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়তে পারে ৬ মাস থেকে এক বছর: প্রকল্প পরিচালক

---

শাহনাজ পারভীন এলিস

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের মেয়াদ নির্বাচন কমিশন আরও ৬ মাস থেকে এক বছর বাড়ানোর বাড়ানোর চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান। বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রকল্প পরিচালক জানান, এক্ষেত্রে তারা দুটি পরিকল্পনা রেখেছেন- একটি খরচ বৃদ্ধিসহ আর অন্যটি খরচ বৃদ্ধি ছাড়া। ব্যয়বৃদ্ধি আসলে খুব একটা নাই। সম্প্রতি প্রকল্পটিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি করা হয়েছে। যার ফলে খরচে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। সেক্ষেত্রে অনেক জায়গায় তাদের অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বকেয়া কিছুটা থেকেই যাবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী জুনে শেষ হবে ইসি’র ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ। সামনে নির্বাচন আছে সেটাকে নিয়ে একটা দেয়া হচ্ছে। কয়েকটা অপশন করে দেয়া হচ্ছে। তার মধ্যে যে মেয়াদে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা সেটা দেয়া হচ্ছে। সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আরেকটা দেয়া হচ্ছে।’
নতুন ইভিএম প্রকল্প থেমে যাওয়ায় এসব চিন্তা করতে হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান বলেন, ‘নতুন প্রস্তাব যাওয়ার আগেই আমরা একটা রিভাইস ডিপিপি দিয়ে রেখেছিলাম প্ল্যানিং কমিশনে। সেটাকে তারা ফেরত পাঠিয়েছে। গত বছর জুন মাসে পাঠিয়েছিলাম। যে আমাদের একটা রিভিসন প্রয়োজন। একটা প্রজেক্ট করতে গেলে কিছু সময় লাগে। এখনো জুন, ডিসেম্বর অথবা পরবর্তী জুনে শেষ করার পরিকল্পনা আছে। ‘
প্রকল্প চালাতে গিয়ে নানা ধরনের আর্থিক খাত তৈরি করতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেগুলো প্রাথমিক ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সেসব প্রকল্পের প্রপোজাল রেডি করে দিচ্ছি। একটা হচ্ছে এক্সটেনশন। বাট একটা রিভিসন দরকার। রিভিশনটা এক্সটেনশনসহ করা দরকার। সামনে ইলেকশন আছে সেটাকে ধরে একটা রিভিশনের পিরিয়ড ধরে প্রোজেক্টটি ক্লোজ করা। ইসি সচিবালয় যেটাকে মনে করবে যে এটা তাদের কাছে এক্সসেপ্টেবল তারা সেটাকে গ্রহণ করে অনুমোদনের ব্যবস্থা করবে।’
রাকিবুল হাসান আরও বলেন, ‘চলমান ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা এখনো প্রস্তাব দেইনি। পূর্বের প্রকল্প প্রস্তাবনা যেটা ছিল, যেটা চলমান আছে- সেই ডিপিপির একটা রিভিশন দরকার। সেই রিভিশন নিয়ে একটা প্রস্তাবনা আমরা রেডি করছি। সচিবলায়ের সাথে আমাদের মৌখিকভাবে কথা হয়েছে। বিভিন্ন গাইডলাইন তারা দিয়েছে। সেগুলোর আলোকে আমরা প্রস্তাব রেডি করছি। সচিবালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
ইভিএম সংরক্ষণে গোডাউন ভাড়া সংক্রান্ত জটিলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রকল্প থেকে কোন গোডাউন ভাড়া নেয়া হয়নি। আসলে এ বিষয়ে আমরা ওইভাবে চিন্তা করিনি। তবে এবার চেষ্টা করবো। গোডাউন ভাড়া বিষয়ে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা গণপূর্তকে রেফার করেছে। সেখান থেকে এটাকে ভেরিফাই করা হবে। সেটা হয়ে গেলে ভাড়ার জটিলতা দূর হবে। বিএমটিএফের সাথে যে বকেয়া আছে সেটা প্রকল্প থেকে যাবে না রাজস্ব থেকে যাবে- এটা তখন সিদ্ধান্ত হবে।’
ইভিএম মেশিনের কিইউসি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান জানান, ‘তারা পাচঁটি অঞ্চলে কিইউসি শেষ করেছেন। তবে ঠিক কতগুলো ত্রুটিপূর্ণ সে ব্যাপারে আরেকটু সময় লাগবে। ভোটার সংখ্যা ঠিক করে দিলে কতগুলো আসনে ভোট করা সম্ভব তা নির্ধারণ করা সম্ভব হলে উল্লেখ করে তিনি জানান, কোথাও ১ হাজার ৫৮১ ইভিএম লাগছে। কোথাও ২ হাজার ৩শ’ ইভিএম লাগছে। একটা মেশিন দিয়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ ভোটারের বেশি রাখা হয় না। নারী ভোটারদের ক্ষেত্রে রাখা হচ্ছে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’।
পাচঁটা অঞ্চলে ভালো-খারাপের অনুপাত কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ভালো খারাপের বিষয় না। যেটা হলো মেশিন ভালো আছে। বাট অমাদের মেশিনের কিছু সার্ভিসিং দরকার। মেশিন কিছু একদমই খারাপ হয়ে গেছে। খারাপটা কী ধরনের খারাপ। এটার আগেই আসলে বলা সম্ভব না।’ এসময় ইলেকশন পরিচালনা করতে একটি সেফ স্টক রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্টকটা রাখার জন্য বিএমটিএফকে একটা মেশিন স্টক করতে হচ্ছে। মেশিন সাড়ানোর জন্য এবং ভোটের জন্য নতুন মেশিন সংরক্ষণ করতে হয়। যার ফলে ওভাবে ক্যালকুলেশন করা এখনো সম্ভব হয়নি।’
কত শতাংশ ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া গেছে জানতে চাইলে প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘অঞ্চলগুলো যেভাবে ইভিএম নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে সেভাবে মতামত নিয়ে ইভিএমগুলো পাঠিয়েছি। বিএমটিএফের কাছ থেকে ফাইনালি একটা রিপোর্ট  পাবো। বিএমটিএফ এগুলোকে বলবে ত্রুটিপূর্ণ। তারপর সেগুলো আমাদের রিপেয়ার করে দেবে। ধারাবাহিকভাবে ইলেকশন চলছে তাই বিএমটিএফকে আমাদের সাথে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। বিএমটিএফের পক্ষে এতগুলো মেশিন যাচাই-বাছাই সম্ভব না। ধীরে ধীরে যাচাই-বাছাই করবে, যা এখনো প্রসেসে আছে। মার্চের মধ্যে কিউসি শেষ করার চেষ্টা চলছে।’



বিষয়: #



আর্কাইভ