সোমবার ● ৬ মার্চ ২০২৩
প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়া সরকারের লক্ষ্য: সালমান এফ রহমান
প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়া সরকারের লক্ষ্য: সালমান এফ রহমান
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, আগামীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কারণ আমাদেও মতো উন্নয়শীল দেশে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব না হলে লডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশকে যেন শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান বা অন্যান্য অনেক দেশের মতো মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়তে না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব মহলকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনে ‘পলিসি ডায়লগ অন রোডম্যাপ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে স্মার্ট সিটিজেন ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ব্যাপক কাজ করা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা মনে করেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষ কর্মী তৈরি করা। সেখানে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। একাডেমি, ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকার এর মধ্যে সমন্বয় করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কাজ করতে চাই। হায়ার স্কিল ডেভোলপমেন্টের পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুল থেকে কোডিং শেখানো বা কি কি কাজ আমরা করবো সেটা নিয়ে সার্বিক একটা আলোচনা করেছি।
এসময় স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমরা যেহেতু গ্র্যাজুয়েশন করেছি, তাই সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব দেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ হয়েছে তাদের অনেকেই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মিডল ইনকাম ট্র্যাপে পড়েছে। এটা একটা ভয়ানক ফাঁদ। ডিজিটাল বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাস্টার প্লান কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
দেশে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান জানান, বেশকিছু কোম্পানি এটা নিয়ে এখন কাজ করছে। সেখানে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে রোডম্যাপ করা হয়েছে। এটা ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে আছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমরা সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে কমপক্ষে ২-৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারবো।
সালমান এফ রহমান আরও জানান, ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন চলে এসেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংক্স রোবটিক্স নিয়ে কাজ করতে হবে। সারা বিশ্বে যেসব নতুন প্রযুক্তি আসছে তা ধারণ করতে পারলে কিংবা ব্যবহার করতে পারলে মিডল ইনক্যাম ট্রাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।
স্মার্ট ইকোনমি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য যেসব খাতে বাজেট সাপোর্ট দরকার তা নির্ণয়ে অংশীজনদের সাথে বৈঠক করতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। একই সাথে টেলিকম বিভাগকেও সাথে নেওয়ার পরামর্শ তার।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের এখন যে মোবাইল নেটওয়ার্ক, ই-সেবা, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদির মৌলিক সফট অবকাঠামো হয়ে গেছে। এর ভিত্তিতে একটি সার্ভিস ইকো-সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। এটি ভার্টিকালি আমরা আরো উপরে উঠাতে পারি। কেননা আমাদের মডেলগুলো সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। সবক্ষেত্রেই আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে। ফলে ২০৪১ সাল নাগাদ এই সেক্টরে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা আশাবাদী।
বিষয়: #প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়া সরকারের লক্ষ্