শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ২৩ মার্চ ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ফাঁসির আইন থাকার পরও কী খুন বন্ধ আছে: ইসি রাশেদা
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ফাঁসির আইন থাকার পরও কী খুন বন্ধ আছে: ইসি রাশেদা
২১৭ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৩ মার্চ ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফাঁসির আইন থাকার পরও কী খুন বন্ধ আছে: ইসি রাশেদা

---

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ থেকে নির্বাচনি অপরাধ পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। তবে এ ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনতে কমিশনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব পাশ হলে তা যুগান্তকারী আইনে পরিণত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দেশে ফাঁসির আইন আছে, তাই বলে কী খুন বন্ধ আছে, তাতো না। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব পাশ হলে আমাদের জন্য অনেকটাই ভাল হবে। কমিশনের যারা ফিল্ডে কাজ করবেন তাদের প্রত্যেকের খুব কাজে লাগবে। তবে বাংলাদেশ থেকে সবকিছু (নির্বাচনি অপরাধ) নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে অনেকটাই হ্রাস বলে আমরা আশা করি। শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফলাফল গেজে আকারে প্রকাশের পর ভোট বাতিলের ক্ষমতা প্রদানসহ বেশকিছু বিধান আনতে আরপিও সংশোধনে ইসির প্রস্তাবটি আগামী ২৮ মার্চ মন্ত্রিপরিষদে ওঠবে। মন্ত্রিপরিষদে পাশ হলে সংসদে যাবে। সংসদ যেভাবে পাশ করে দেবে, সংযোজন হলেও হতে পারে- তবে তা জানি না।

তিনি আরো বলেন, ‘আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব পাশ হলে যুগান্তকারী আইন হবে। প্রার্থী, সমর্থক সবার আচরণগত পরিবর্তন হবে। প্রায় এক বছর হলো আইনটা পাঠানো (সরকারের কাছে) হয়েছে। যে অপরাধগুলো অপরাধ হিসেবে ছিল না, আমরা সেগুলোকে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধানের সুপারিশ করেছি। গণমাধ্যমের ইকুইপমেন্ট কেড়ে নেয়া- সেটাও অপরাধের আওতায় আসবে। সঙ্গত কারণেই যারা এ কাজ করবে- আইনটা হলে একটু হলেও মনের মধ্যে খটকা লাগবে, যে আমি এই কাজ করছি আমাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। দশজনের না হোক দু’জনের হলেও তো হলো। এতে যদি ক্ষান্ত দেয় এটাও তো বড় অর্জন মনে করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রস্তাবে ভোটারদের বাধা দেওয়ার বিষয়টি আছে। ফলাফলে যদি ম্যালপ্র্যাকটিস নজরে আসে সেখানে কিন্তু কমিশন বন্ধ (নির্বাচন) করার ক্ষমতা যেন থাকে সে বিষয়টাও কিন্তু আছে। এগুলো আসলে নির্বাচনে একটা প্রভাব ফেলবে।’

আইন পাশ হলে প্রয়োগ করতে পারবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের যতটুকু দরকার করতে পারবো। বাকিটা তো বিচারের প্রক্রিয়ায় চলে যাবে। সেগুলো করতে গিয়ে নানাভাবেই আইনটা জনগণের প্রত্যাশিত জায়গায় যায় না প্রমাণ না থাকার কারণে। এতে খালাস পেয়ে যায়- এটা আইনের প্রক্রিয়া। আমরা কিন্তু অতীতে প্রয়োগ করেছি। এলেঙ্গা পৌরভোটে মারামারি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। কেবল এলেঙ্গায় নয় অনেক জায়গায় আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আইন না জানাও কিন্তু একটা অপরাধ। কোন আইন পাশ হলে যখন গেজেট হয়ে যায়, তখন প্রাপ্তবয়স্ক কেউ বলতে পারবে না যে আমি জানি না। জনে জনে, ঘরে ঘরে গিয়ে তো আর আইন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। গেজেট হয়ে গেছে ধরে নিতে হবে সবাই জানে।

সংলাপের বিষয়ে বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সংলাপ কাজের সুবিধা জন্য হয়। এটা করার জন্য আইনে কিছু বলা নেই। এইটুকু বলতে পারি প্রয়োজন হলে নিশ্চয় আবার আমরা বসবো। তবে কাউকে ভোটের মাঠে দাঁড় করাইয়ে, মানে আনতেই হবে এটা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজ না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের আহ্বান করে থাকি, করতে পারি। কিন্তু তারা আসবে কি, আসবে না, আইনতেই হবে; এই বিষয়টা কিন্তু আমাদের কাজও না। এটাই হলো আসল কথা।’

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে এই কমিশনার আরো বলেন, গাজীপুরে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়নি। ঈদুল  আজহার আগেই সকল সিটি নির্বাচন শেষ করে দেবো। তারপর সংসদ নির্বাচনের জন্যই মনোনিবেশ করা হবে। কেননা সেখানে অনেক কাজ। অনেক ধরনের বিষয় আছে। গাজীপুর আগে হবে তো, আলাদাই হবে। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর পর্যন্ত অন্যগুলোর সময় আছে। কিন্তু আমরা অতদূর যাবো না। ২৩ মে থেকে জুনের মধ্যেই পাঁচ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোন সিটির নির্বাচন কবে হবে তা তফসিল করে জানিয়ে দেয়া হবে।



বিষয়: #



আর্কাইভ