শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
বুধবার ● ৫ এপ্রিল ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সংসদীয় ৩৮ আসনের সীমানা পরিবর্তনে ইসিতে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সংসদীয় ৩৮ আসনের সীমানা পরিবর্তনে ইসিতে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন
২১২ বার পঠিত
বুধবার ● ৫ এপ্রিল ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সংসদীয় ৩৮ আসনের সীমানা পরিবর্তনে ইসিতে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন

---

বিশেষ প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৮টি সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে জমা পড়া ১৮৬টি আবেদন চার ধাপে শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। সে ক্ষেত্রে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে এ সংক্রান্ত শুনানি করবে সাংবিধানিক এ সংস্থা। ৩৮টি সংসদীয় আসনের প্রকাশিত খসড়া নিয়ে ইসির পক্ষে ৬০টি আবেদন পড়েছে। আর বিপক্ষে জমা পড়েছে ১২৬টি আবেদন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম এসব তথ্য জানান।

এদিকে বিদায়ী নুরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া সংসদীয় আসনের সীমানা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া সীমানা হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯ মার্চ পর্যন্ত সংক্ষুব্ধরা এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। সীমানাসংক্রান্ত প্রাপ্ত আবেদনের শুনানি শেষে জুনের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করতে চায় বর্তমান কমিশন।

ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে যে ৩০০টি আসন রয়েছে, সেই  আসনগুলোর সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছিলাম। সেই গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে— ১৯ মার্চের ভেতরে  আপত্তিগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে ১৮৬টি আবেদন পেয়েছি। যার ভেতরে পক্ষে এবং বিপক্ষে রয়েছে। এই আপত্তিগুলো শুনানি করে নিষ্পত্তি করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করতে কমিশনে অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে হয়েছিল। সেই সভাতে চারটি দিনে আপত্তিগুলো নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এদিকে সারা দেশ থেকে সংসদীয় আসনের সীমানাসংক্রান্ত ১৮৬টি দাবি-আপত্তির আবেদন জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। সীমানার আপত্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৮৪টি আবেদন জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে। রাজশাহীতে ৪৩টি, বরিশালে ২৯টি, ঢাকা অঞ্চলে ১৮টি আবেদন জমা পড়ে। এ ছাড়া খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে আবেদন পড়েছে। অপরদিকে সিলেট ও রংপুর অঞ্চল থেকে কোনও আবেদনই জমা পড়েনি।

ইসি সচিব বলেন, ‘কুমিল্লা অঞ্চলের যে আবেদনগুলো জমা হয়েছে, সেগুলো শুনানি নিষ্পত্তির তারিখ ৩ মে।   রাজশাহী অঞ্চলের আবেদন শুনানির তারিখ ৭ মে। ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলরে শুনানি ১১ মে। বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেদনের শুনানি নিষ্পত্তি হবে ১৪ মে।’

আবেদনের এসব শুনানি নির্বাচন কমিশনের বেজমেন্টের সভাকক্ষে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমরা একটা গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে দেবো। কোনটা কোন তারিখে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে৷ যারা আপত্তি দাখিল করেছিলেন, তারা তাদের যৌক্তিক প্রমাণাদিসহ শুনানিতে উপস্থাপন করবেন। কমিশন আবার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বিষয়ে শুনানি জানাবে।



বিষয়: #



আর্কাইভ