শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
সোমবার ● ১২ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ভোট গ্রহণ চলছে
প্রচ্ছদ » জাতীয় » বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ভোট গ্রহণ চলছে
১৬৮ বার পঠিত
সোমবার ● ১২ জুন ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ভোট গ্রহণ চলছে

---

* মূল লড়াইয়ে নৌকা, পাখা লাঙল প্রতীক

* ইভিএমএ ভোটে বিড়ম্বনার অভিযোগ ভোটারদের

* দুই সিটি এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি

শাহনাজ পারভীন এলিস 

দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরিশাল খুলনা নগরীতে চলছে ভোট উৎসব। আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুই সিটিতে একযোগে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে (ইভিএম) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে। তবে ইভিএম পদ্ধতির ভোটে দুই সিটিতেই আঙুলে ছাপ মেলাতে বিড়ম্বনা এবং দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। ভোটকে কেন্দ্র করে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট, চলছে তল্লাশি। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

---

ভোটারদের অভিব্যক্তি

সকাল থেকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল, আছমত আলী খান ইনস্টিটিউট, সৈয়দ আব্দুল মান্নান ডিডিএফ আলিম মাদ্রাসা বরিশাল কলেজসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময় সকাল ৮টার আগেই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে দাঁড়ান শত শত ভোটার। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে আঙুলে ছাপ মেলাতে বিড়ম্বনা এবং দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ করেছেন ভোটাররা।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে গিয়ে দেখা যায়, যথা সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। নারী-পুরুষ ভোটারের উপস্থিতিও রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ধীরগতিতে। বিশেষ করে নারীদের জন্য স্থাপিত কেন্দ্রগুলোয় ধীরগতি বেশি। এছাড়া নগরীর সাতটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, পুরুষের তুলনায় নারীদের ভোটকেন্দ্রগুলোয় লাইনে অনেক নারী ভোটার দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাদের অনেকে বলছেন, এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারেননি। আছমত আলী খান ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে দেখা যায়, সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রটির নম্বর বুথে ৩১৪ ভোটের মধ্যে মাত্র ৭টি ভোট পড়েছে। কিন্তু কেন্দ্রটির বুথগুলোর সামনে দীর্ঘ লাইন।

---

কলেজ শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান রাত্রি বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে এসে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। কিন্তু সিরিয়াল পাচ্ছি না। একজন ভোট দিতে গেলে প্রায় ২০ মিনিট সময় নিচ্ছে।গৃহিণী আসমা বেগম বলেন, ‘বাড়িতে অনেক কাজ ফেলে ভোট দিতে এসেছি। কিন্তু ভোট নিতে দেরি হচ্ছে।’ অমৃতলাল দে মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম বলেন, নারীরা এই সিস্টেমে (ইভিএম) ভোট দিতে বেশ সময় নিচ্ছেন। তাই ধীরগতি। এই কেন্দ্রের নম্বর বুথে প্রথম ৫০ মিনিটে ৩১২ ভোটের মধ্যে মাত্র ৬টি ভোট পড়ে। বুথে অপেক্ষমাণ কাজী হুমাইয়া পারভীন নামের এক ভোটার বলেন, ‘এত ধীরগতি যে এখন অসহ্য লাগছে।আমতলা এলাকার সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেল। তবে ভোট গ্রহণের গতি নেই। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নাহিদুল বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৭০ জন ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা হাজার ৫৮২।

---

প্রার্থীদের ভোট ও প্রতিক্রিয়া

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ভোট দিয়েছেন। সময় তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দারসহ নেতকর্মীরা। পরে সাংবাদিকদের কাছে ভোট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ সন্তোষজনক। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফলাফল যাই হোক আমি তা মেনে নেবো। বরিশালের মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো।

---

এর আগে সকাল ৮টার দিকে সৈয়দ আব্দুল মান্নান ডিডিএফ আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা বেশকিছু কেন্দ্রে ভোটারদের ভোটপ্রদানে বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করেন। ইভিএমে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোটপ্রদানে বিড়ম্বনার পড়তে হচ্ছে ভোটারদের। তবে পুরো ভোট সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অন্যদিকে ভোট সুষ্ঠু না হলে ফল মানা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা) সকাল সোয়া ৮টার দিকে নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য না লে ভোটের ফলাফল মেনে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ লে আমরা আন্দোলন কর, আদালতের দ্বারস্থ ব।

---

ভোটের পরিবেশ নিয়ে ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত ভোটের যে পরিবেশ দেখছি, তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু বে লে মনে করছি, তবে শেষ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কী হয়। তবে ভোটাররা ভোট দিতে পারলে হাতপাখা সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী বে ইনশাআল্লাহ।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল)। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন- কামরুল আহসান রুপন (টেবিল ঘড়ি), মো. আসাদুজ্জামান (হাতি) এবং মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ)

এছাড়া কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ১৫৮ জন প্রার্থী। সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৬ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৪২ জন। নির্বাচনে লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মোট ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনি এলাকায় ৩০ জন নির্বাহী ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন।

---

বরিশাল সিটির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার ভোর থেকেই বরিশাল নগরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বাড়ানো হয় পুলিশি টহল ও তল্লাশি। এছাড়া রহমতপুর, নতুল্লাবাদ বাসটার্মিনাল, রুপাতলিসহ শহরের মূল প্রবেশদ্বারগুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। সন্দেহজনক কাউকে দেখলে জিজ্ঞাসাবাদ তল্লাশি করতে দেখা গেছে। নগরজুড়ে বিজিবির টহল দেখা গেছে।  বহিরাগতদের নগরী ছাড়ার জন্য  নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।  গোটা নির্বাচনি এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলতে সাড়ে হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। অপরদিকে প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন করে আনসার সদস্য মিলিয়ে হাজার ৫১২ জন আনসার সদস্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া র্যা বের ১৬টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেব কাজ করছে। পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া ঢাকা থেকে ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় হাজার ২০০ সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

---

খুলনা সিটিতে ভোটের পরিস্থিতি

ভৈরব-রূপসা-পাড়ের শহর খুলনা ১৯৮৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর এবার হচ্ছে এই সিটির ৬ষ্ঠ নির্বাচন। এই সিটিতেও সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে (ইভিএম) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা আর ইভিএম ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার অভিযোগ করেছেন ভোটাররা।  একই সাথে ইভিএম যন্ত্র বিকল হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর শেখপাড়ায় পল্লীমঙ্গল শেখ হাতেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সত্তরোর্ধ্ব এক নারী ভোটারের আঙুলের চাপে ইভিএম বিকল হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। এতে ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। এতেই দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। পরে আরেকটি যন্ত্র বসিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

---

পরে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার মল্লিক জানান, ওই নারী ভোটার এত জোরে ইভিএমের ব্যালট প্যানেলে চাপ দিয়েছিলেন যে এটা নষ্ট হয়ে গেছে। পরে টেকনিশিয়ান এনে আরেকটি যন্ত্র বসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্যালট প্যানেলের ১০টি সুইচের মধ্যে ১টিতে ওই নারী অনেক জোরে চাপ দিয়েছেন। পরে সুইচটি আর ওঠেনি। টেকনিশিয়ান পাশের কেন্দ্রে ছিলেন। যানবাহন বন্ধ থাকায় ওনার আসতে সময় লেগেছে। পরে আরেকটি বসানো হলে ওই কক্ষে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

খুলনা সিটির এবারের নির্বাচনে বিএনপি সমমনা দলগুলো অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), ইসলামী আন্দোলন, জাকের পার্টি অংশ নিচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনকে ঘিরে সব মহলের নজর এখন খুলনার দিকে। কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) স্বতন্ত্র এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)

---

ভোটের লড়াইয়ে দুই সাংবাদিক

ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন দুই ফটো সাংবাদিক। এঁরা হচ্ছেন আনোয়ারুল ইসলাম কাজল ও রবিউল ইসলাম উজ্জ্বল। আনোয়ারুল ইসলাম কাজল খুলনার স্থানীয় দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র ফটো সাংবাদিক। ১১নং ওয়ার্ড থেকে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। স্থানীয় দৈনিক সময়ের খবরের সিনিয়র ফটো সাংবাদিক রবিউল ইসলাম উজ্জ্বল। তিনি ১২নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে মেয়র হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের খালেক এবারও দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে লড়বেন। তার বিপরীতে নেই শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে ১৩ ২৪নং সাধারণ ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই জন কাউন্সিল নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে শুধু কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৫ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি, আর ভোটকক্ষ রয়েছে ১৭৩২টি। এবারের নির্বাচনে লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন পুরুষ ভোটার লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। এবারই প্রথম সবকটি কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। গণনা শেষে ফল ঘোষণা হবে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ইসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. আলাউদ্দীন। ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

---

খুলনার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি

ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচনী এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ১১ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১৬টি টিম, পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের ৪৯টি টিম। দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য। নির্বাচনী মাঠে আছেন ৪১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা। পর্যবেক্ষক রয়েছেন বেসরকারি দুটি সংস্থার ২০ জন ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন।

প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ১৭ জন পুলিশ আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মাঠে রয়েছে ৭১টি মোবাইল টিম। প্রতি কেন্দ্রের জন্য একটি করে মোট ২০টি মোটরসাইকেল টিম থাকছে। তার মধ্যে ২টি মোটরসাইকেলে জন করে বিভিন্ন এলাকায় ক্রস পেট্রোল ডিউটি করছে। আর স্ট্যান্ডবাই পার্টি থাকছে ২০টি। রিজার্ভ ফোর্স থাকবে ৫টি দলে বিভক্ত হয়ে। প্রতি টিমে থাকছে ৫৫ জন করে। এর মধ্যে ৩৫ জন পুলিশ ২০ জন ব্যাটালিয়ন সদস্য।

খুলনা সিটি করপেরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ১৫ মে। সেই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।

বিসিসি এবং কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (১২ জুন)  বরিশাল ও খুলনা মহানগরী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক ভোট গ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।



বিষয়: #



আর্কাইভ