শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
সোমবার ● ১৭ জুলাই ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ভোটারের উপস্থিতি কম, ভোটের পরিবেশ ভালো: ইসি
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ভোটারের উপস্থিতি কম, ভোটের পরিবেশ ভালো: ইসি
১৭৬ বার পঠিত
সোমবার ● ১৭ জুলাই ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভোটারের উপস্থিতি কম, ভোটের পরিবেশ ভালো: ইসি

---

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ভোটের পরিবেশ ভালো, এখন পর্যন্ত তেমন কিছু নজরে আসে নাই। সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই আসনের ভোট সিসি ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ঢাকার বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। দু’একটা কক্ষে ভোটগ্রহণ চালু হয়েছে দেখেছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখেছি। এক প্রার্থীর এজেন্টকে দেখেছি। প্রিজাইডিং অডিফসার জানান, কিছু কিছু তালিকা আসেনি, হয়তো পৌঁছাবে। ভোটের পরিবেশ ভালো, তেমন কিছু নজরে আসে নাই। সিসি ক্যামেরায় অনিয়মের চিত্র দেখিনি। পরিবেশ ভালো।
তিনি বলেন, আমি চলে আসার সময় চার থেকে পাঁচজন মহিলাকে সিঁড়িতে দেখলাম তারা বললো আমরা এজেন্ট। কাগজ এখনো পাইনি। পেলে যাবো। নৌকা প্রতীকের এজেন্টকে পেয়েছি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ফোন থাকায় সাংবাদিকেকে বের করে দিয়েছে প্রিসাইডিং অফিসার, এ জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে আমি যখন গিয়েছি তখন কিন্তু অনেক সাংবাদিক ছিল।
তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম আমরাও দেখেছি। এটার কারণ হতে পারে খুব অল্প সময়ের জন্য। অভিজাত এলাকা, ভোটাররা হয়তো আগ্রহী না। তবে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবো পরে। তবে ভোট পড়ার হার বাড়বে বলে আমরা ধারণা।
তরিকুল ইসলামের ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত দেখতে পারতেন। যদি সকালেই ভোট বর্জন করেন তাহলে তো উনি দেখতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত কী হলো। ডিসি, এসপি, রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও। তবে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেটা এখনো পায়নি।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে সাংবাদকদের প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব বলেন, দুর থেকে কাশবন ঘনলাগে। কাছে গেলে ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আপনারাই কিন্তু আমাদের মুভমেন্ট কর্মকাণ্ড কাছ থেকে দেখেছেন। আপনাদের কী মনে হয় আমাদের কী আন্তুিরকতার ঘাটতি ছিল। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।
আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে বেনাপোল নির্বাচন নিয়ে। সেখানে ১২ বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। আরেকটা হচ্ছে ভাণ্ডারিয়া। অনেক কেস কাছারির মধ্য দিয়ে অবশেষে আল্লাহর রহমতে হলো। কী পরিমাণ ভোটার যে ওখানে হাজির হয়েছে, এবং কী সুন্দর যে ভোট হচ্ছে। আমরা কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে সবার সঙ্গে কথা বলছি। তারা বলছে ভালো ভোট হচ্ছে। ওইখানকার রিকোয়েস্টের ভিত্তিতেই কিন্তু আমরা ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা দিয়েছিলাম। বেনাপোলের সিসি ক্যামেরা ওকে। ওয়ার্কিং ফাইন। কিন্তু ভাণ্ডারিয়ায় কিছু কিছু মিসক্রিয়েন্ট গতকাল রাতে সিসি ক্যামেরার ক্যাবল কেটে দিয়েছে। কাটা পড়েছে বললাম না।
সকাল থেকে ডিসি, এসপি, গোয়েন্দা সংস্থা লাগিয়ে চেক করেছি। এবং ওপরের ‍ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। এতে কিন্তু ভোটের অসুবিধা হেচ্ছ না। ইভিএমে যেহেতু সুযোগ নাই। দুই পক্ষে উপস্থিতিই ব্যালেন্স করছে। আমাদের গাজীপুরে চিন্তা করেছিলাম কাটাকাটি করবে। কিন্তু দেখলাম সেই কাটাটা হচ্ছে ভাণ্ডারিয়ায় হলো। এটা আমরা খুঁজে বের করবো। কে কখন কারা কিভাবে কোন পক্ষের হয়ে এজিনিসগুলো করেছে।
আমি নির্দিষ্টভাবে এসপিকে দায়িত্ব দিয়েছি। ডিবির কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছি। রাস্তায় অনেক ফুটেজ থাকে সিসি ক্যামেরা থাকে, কোনো কোনো বাসায় থাকে। এটা খুঁজে বের করার জন্য বলেছি। এছাড়া কোনো প্রকার হয়নি। চার-পাঁচটা কেন্দ্রের কাটা হয়েছে। তিনটপা কাটা হয়েছে। এটা এজন্য বললাম যে তারটা কেটে সরিয়ে নিয়ে গেছে, যেন সহজে সারানো না যায়। সেই পাঁচটা কেন্দ্রে আমাদের পৃথক পাঁচজন পর্যবেক্ষক দেওয়া হয়েছে। তো ওইটা নিয়ে আমাদের চিন্তা না।
এই অভিযোগ পেয়েছি, ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রে সাংবাদিককে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলা আছে ঢুকে অবগত করবে। তারা যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবে শুধুমাত্র গোপন কক্ষ বাদে। কাজেই এটা অন্যায় হয়েছে। এর বিচার হওয়া উচিত।
আমরা ওটা ছাড়বো না। আমরা কমিশনে ওঠাবো। সেই চেয়ারম্যারের আচরণ ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করেছে।



বিষয়: #  #



আর্কাইভ