মঙ্গলবার ● ১ আগস্ট ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » আগস্টের প্রথম প্রহরে জাতির পিতাকে মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের শ্রদ্ধা
আগস্টের প্রথম প্রহরে জাতির পিতাকে মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে বাঙালির শোকের মাস আগস্টের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে।
আলোক শিখা জ্বেলে এসময় ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের শহিদদের স্মরণ করেন। সেই সাথে তীব্র নিন্দা জানান এই নির্মম-নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের। এই সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, মতিউর রহমান লাল্টু, সদস্য রুদ্র সাইফুল্লাহ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল, সহ-সভাপতি এম মনসুর আলী, প্রফেসর ড. ডা. অসিত মজুমদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস. এম. ওয়াহিদুজ্জামান (মিন্টু), নির্মল বিশ্বাস, লায়ন শোয়েব উদ্দিন সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল আমিন রঞ্জন, মো. আজিবুর রহমান রাজিব, আইন বিষয়ক সম্পাদক নীতিশ সরকার, যুব ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান খান, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রাজিব কিষান, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ ইমরান হোসেন, সহ-সম্পাদক মো. ওহিদুর রহমান, এ ডি সুজাউদ্দিন, সদস্য আশরাফুল আলম (আশরাফ), আবদুর রাজ্জাক বিভিন্ন থানা কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্য উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ জামাল, আফজাল হোসেন, আবদুল মান্নান পূবালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মাহতাব আলী ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহমুদ হাসান রুবেল বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনিরা। সেই খুনিদের বিচার হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে রুখে দেয়ার আহ্বানে তিনি এসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে শ্লোগান দিতে থাকেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া কামনা করা হয়।
উল্লেখ্য, পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেদিন প্রাণে বেঁচে যান।
বিষয়: #আগস্টের প্রথম প্রহরে জাতির পিতাকে মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষ