শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
রবিবার ● ১৩ আগস্ট ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » বিএনএমের নোঙ্গর প্রতীকে আপত্তি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি
প্রচ্ছদ » জাতীয় » বিএনএমের নোঙ্গর প্রতীকে আপত্তি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি
২০৪ বার পঠিত
রবিবার ● ১৩ আগস্ট ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিএনএমের নোঙ্গর প্রতীকে আপত্তি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি

---

অভিযোগের কারণ

দুটি প্রতীকের মধ্যে সাদৃশ্য 

লাঙ্গল ও নোঙ্গর উচ্চারণে অন্তমিল 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর দলীয় প্রতীক `নোঙ্গর’ বরাদ্দে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি জানিয়েছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)৷ জাতীয় পার্টির অভিযোগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে (বিএনএম) দেয়া ‘নোঙ্গর’ প্রতীকের সাথে জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের মধ্যে সাদৃশ্য ও অন্তমিল রয়েছে। এ কারণে তারা বিএনএমকে দেয়া নোঙ্গর প্রতীক পরিবর্তনের করতে ইসি’র কাছে দাবি জানিয়েছে।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিয়ে তাদের একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে এই আপত্তি জানান। প্রতিনিধিদলের প্রধান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম তার দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু স্বাক্ষরিত এক চিঠিটি সিইসি’র হাতে তুলে দেন। সেসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভরায়, এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আশরাফ এবং জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সেক্রেটারি-০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।

মুজিবুল হক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন থেকে যেসব রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। যে সব দল নিবন্ধন লাভ করেছে- ওই দলসমূহকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু নিবন্ধন লাভ করা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) কে যে ‘নোঙ্গর’ প্রতীক দেয়া হয়েছে- তাতে আমাদের আপত্তি আছে। কারণ- এক. ‘নোঙ্গর’ ও ‘লাঙ্গল’ উচ্চারণের মধ্যে কিছুটা আন্তমিল রয়েছে। দুই. এই দুটি প্রতীকের ছবিতে কিছুটা সাদৃশ্যও আছে। নির্বাচনি ব্যালটে এই দুটি প্রতীকের ছবি থাকলে ভোটাররা বিভ্রান্ত হতে পারেন। কারণ, সকলের দৃষ্টিশক্তি সমান থাকে না।’

চিঠিতে আরো বলা হয়, এক সময়ে একটি রাজনৈতিক দলকে ‘জাহাজ’ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছিলো। ব্যালটে নৌকার ছবির সাথে ‘জাহাজের’ ছবির কিছুটা সাদৃশ্য দেখায়- আপত্তি উত্থাপিত হলে ওই প্রতীকটি বাদ দেয়া হয়েছে। তাই নতুন নিবন্ধিত বিএনএম-কে বরাদ্দকৃত ‘নোঙ্গর’ প্রতীক পরিবর্তন করে অন্য কোনো পরিচিত প্রতীক বরাদ্দ করা হোক। একই সাথে নির্বাচনি প্রতীকের গেজেট সংশোধন করে প্রতীকের তালিকা থেকে ‘নোঙ্গর’ প্রতীক বাদ দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।

সম্প্রতি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে (বিএনএম) নিবন্ধন চূড়ান্ত করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। নিবন্ধনের সময় বিএনএম দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘নোঙর’ ও বিএসপি পায় ‘একতারা’ প্রতীক। গত ১০ আগস্ট এই দুই দলের নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। সেময় তিনি জানান, ‘বিএনএম ও বিএসপি-কে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। শিগগিরই তাদের সনদ দেওয়া হবে। এ বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।’

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়া কোন দল দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল ৯৩টি দল। ইসির যাচাই বাছাইয়ে বিএনএম ও বিএসপি-কে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। বাকি ১০টি দলের ক্ষেত্রে মাঠের তথ্যে গড়মিল পাওয়ার তথ্য জানায় ইসি।

এর আগে প্রাথমিক বাছাই শেষে ১২টি দলের মাঠ পর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। দলগুলো হলো- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)। তবে ১২টি দলের মধ্যে চূড়ান্ত বাছাইয়ে শেষ পর্যন্ত দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।



বিষয়: #



আর্কাইভ