মঙ্গলবার ● ১৫ আগস্ট ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » সংবিধানের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার ইসির নেই: ইসি আলমগীর
সংবিধানের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার ইসির নেই: ইসি আলমগীর
লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব
সরকার, ভোটার, প্রার্থী সবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সংবিধানের বাইরে কোন কিছু করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। আমরা যখন শপথ নিয়েছি, বলেছি যে সংবিধান মেনে চলবো। নির্বাচন কমিশন কখনো সংবিধানের বাইরে যাবে না।’ সোমবার দুপুরে (১৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ইসি সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারবে না এমনও তো বলা নেই- এমন প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ কী তা সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, আসনের সীমানা নির্ধারণ এবং সংসদ যদি আইন করে কোন দায়িত্ব দেয় সেটা পালন করা।
এসময় নির্বাচনের আগে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব শুধু ইসির নয়; সরকার, ভোটার, প্রার্থী সকলের। আইনে যেটুকু বলা আছে ততটুকু ইসির দায়িত্ব। একই সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা যাতে না ঘটে সেটা আমাদের বললে ব্যবস্থা নিই। এখন ঘরে ঘরে পুলিশ দেয়া কি সম্ভব? মিছিল তো হবে প্রতি গ্রামে, পুলিশ কী সব জায়গায় যেতে পারবে? এজন্য আমাদের আগে থেকে জানাতে হবে। আমরা তখন নিরাপত্তা দিতে বাধ্য।’
বিএনপি আসবে না বলেছে, আপনারা কোন উদ্যোগ না নিলে আপনাদের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোন নির্বাচনেই সব দল কখনো অংশ নেয় না। অতীতেও নেয়নি। আমাদের ৪৪টি দল আছে। সবাই তো অংশগ্রহণ করবে না। কেননা ভোটে অংশ নিতে অনেক সক্ষমতার বিষয় আছে। আমরা সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করার শপথ নিয়েছি। আমাদের কাজ এই টুকুই যে, ভোটার তালিকা করবো, দলের নিবন্ধন দেবো আর যখন যে নির্বাচনের সময় আসবে যথাসময়ে সে নির্বাচনগুলো করবো।’
ছোট দলগুলো জনসভার মতো প্রচারের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ কিভাবে পাবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো দলগুলোর সাংগঠনিক সক্ষমতার বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের তো কিছু করার নেই।
এসময় নির্বাচনকালীন সরকারে ইসির কাজ কী হবে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সরকার কেমন হবে সেটা দেখা তো আমাদের বিষয় না। কী হবে, না হবে_ সংবিধানে বলা আছে। আমাদের কী করতে হবে সেটাও সংবিধানে বলা আছে। কী ধরনের সরকার থাকবে সেটা রাজনৈতিক বিষয়। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলা নেই।
তফসিল ঘোষণার পর ডিসি, এসপি, পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং তাদের অধীনস্থ যারা আছে, ইসির অনুমতি ছাড়া কাউকে বদলি করা যাবে না। ইসি যদি কাউকে বদলি করতে বলে সেটাও করতে হবে। এটা আইনেই বলা আছে। আমাদের কাজ সরকার যেই থাকুক যেভাবেই থাকুক যথাসময়ে নির্বাচন করা। ভোট কবে হবে সেই সিদ্ধান্ত আগামী নভেম্বরে জানানো হবে। এর আগে বলা যাবে না।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, ‘আমাদের কনসার্ন হবে আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়টি। আপনার স্থানীয় আর জাতীয় নির্বাচনের আচরণবিধির ভিন্নতা আছে। নিরাপত্তার জন্য উনারা যা প্রয়োজন পাবেন। তবে সরকারি কিছু ব্যবহার করতে পারবেন না নির্বাচনি কাজে। ভোটের, খরচ উৎস এগুলো প্রার্থীরা হলফনামায় উল্লেখ করবেন, সেভাবেই ব্যয় করবেন। ছোট দলগুলো জনসভার মতো প্রচারের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ কিভাবে পাবেন, এটা তো দলগুলোর সাংগঠনিক সক্ষমতার বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের তো কিছু করার নেই।
বিষয়: #সংবিধানের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার ইসির নেই: ইসি আলমগীর