শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৩
প্রচ্ছদ » অপরাধ » সাঈদীর চিকিৎসককে হত্যার হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি
প্রচ্ছদ » অপরাধ » সাঈদীর চিকিৎসককে হত্যার হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি
১৫৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাঈদীর চিকিৎসককে হত্যার হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি

---

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চিকিৎসা দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক অধ্যাপক এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম আজ বুধবার সকালে জিডি করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশ জিডি তদন্ত করবে। পুলিশ অধ্যাপক মোস্তফা জামানের নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজ রাখছে।

জিডির বরাত দিয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মোস্তফা জামান বিএসএমএমইউয়ের হৃদ্‌রোগ বিভাগের অধ্যাপক। গত রোববার রাতে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বিএসএমএমইউয়ের হৃদ্‌রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের অধীন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরদিন গত সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদী মারা যান। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের একজন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক মোস্তফা জামান তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবের বিভিন্ন আইডি থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় সাঈদীকে। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেন ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। সেই রায়ে সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এত দিন ওই সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।



বিষয়: #  #



আর্কাইভ