শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৩
প্রচ্ছদ » অপরাধ » সাঈদীর চিকিৎসা সঠিক নিয়মে হয়েছে: বিএসএমএমইউ
প্রচ্ছদ » অপরাধ » সাঈদীর চিকিৎসা সঠিক নিয়মে হয়েছে: বিএসএমএমইউ
১৬৪ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাঈদীর চিকিৎসা সঠিক নিয়মে হয়েছে: বিএসএমএমইউ

---

রোগের ধরন, চিকিৎসা ও সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে তার ছেলে মাসুদ সাঈদী অবগত ছিলেন: বিএসএমএমইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ আগস্ট ২০২৩

যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসা যথাযথ প্রটোকল মেনেই হয়েছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার রোগের গতিপ্রকৃতি, চিকিৎসা ও সম্ভাব্য পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে তার সন্তান মাসুদ সাঈদী অবগত ছিলেন বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত এ জামায়াত নেতার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত এক চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকির পর সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষাপটে এমন বক্তব্য এল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের।

মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক এস এম মোস্তফা জামান ধানমণ্ডি থানায় জিডি করেন। এরপর আমৃতু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা সাঈদীর চিকিৎসা নিয়ে বুধবার বেলা তিনটায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে পরে তা বাতিল করে বিএসএমএমইউ। বিকালে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে।

বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে পাঠানো এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৩ অগাস্ট রাত সাড়ে ১০টায় বিএসএমএমইউর জরুরি বিভাগে আনা হয় ৮৪ বছর বয়সী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। তার ভর্তি থেকে শুরু করে পরবর্তী সব চিকিৎসা বিধিসম্মতভাবে আন্তর্জাতিক প্র্যাকটিস অনুসরণ করে সম্পন্ন হয়। তার চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকরা সঠিকভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন।

পরদিন ১৪ অগাস্ট বিকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তার সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। অ্যাডভান্স কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট প্রটোকল অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলতে থাকে; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। এই রোগের গতিপ্রকৃতি, চিকিৎসা ও সম্ভাব্য পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে তার সন্তান মাসুদ সাঈদী অবগত আছেন।

গত সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান যুদ্ধাপরাধী সাঈদী। আগের দিন রোববার কাশিমপুর কারাগারে বন্দি অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে বিএসএমএমইউতে আনা হয়।

সেখানে হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ অগাস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মৃত্যু হয় সাঈদীর। তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলে ছিলেন এস এম মোস্তফা জামান।

সাঈদী মারা যাওয়ার পর প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে ধানমণ্ডি থানায় করা জিডিতে তিনি বলেছেন, ‘কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম এবং ইউটিউবে বিভিন্ন আইডি থেকে তার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার করছে। মেসেঞ্জারে বিভিন্ন গ্রুপে এবং ফেইসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে ‘ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে এবং ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দিচ্ছে। তাতে তিনি ‘ভীত, শঙ্কিত

ফেইসবুক ও ইউটিউব ব্যবহারকারীদের কয়েকটি লিংক জিডিতে উল্লেখ করে এই চিকিৎসক বলেছেন, “তারা এবং তাদের অনুসারী ব্যক্তিরা যে কোনো সময় আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের খুন, জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

থানায় জিডি করার পর অধ্যাপক মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে যে রোগীই আসুক, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষ তারা সবাইকে সমান চিকিৎসা দেন। চিকিৎসা পেশার যে মূল আদর্শ, সেটাকে সমুন্নত রেখেই সেবা করেন।

 “এখানেও (সাঈদীর ক্ষেত্রে) সেইমত কাজ করা হয়েছে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। এবং আমরা রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েছি, কোনো ভুল চিকিৎসা বা অপচিকিৎসার যেরকম প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে, সেরকম হয়নি।ডা. মোস্তফা বলছেন, মঙ্গলবার সারাদিন তাকে উদ্দেশ্য করে ‘মিথ্যা গুজব ছড়ানো হয়েছে, তাকে ‘হত্যাকারী বলা হয়েছে, যা ‘সত্য নয়

 ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।”

সাঈদীর মৃত্যুর পর রাতেই জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও শাহবাগে ভিড় করেন। মরদেহ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে তারা পরে ‘তাণ্ডব চালায় বলে মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে জানান ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, “যখন মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়, তখন হাজার হাজার জামায়াত-শিবির লাশবাহী গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তারা কোনো মতে এই মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে দেবে না। এসময় লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে থাকা পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে জামায়াত-শিবির। সঙ্গে তারা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।

এই হামলায় ডিসি রমনাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র অফিসার আহত হন। তারা পুলিশের চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বেশ কিছু স্থানে সংঘর্ষ, মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহতও হয়।



বিষয়: #



আর্কাইভ