শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
শুক্রবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা
১৬৬ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা

---

# আরও পর্যবেক্ষক নিতে ইসি’র আবেদন আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছে ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা। আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সংস্থাগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাজে অংশ নিতে পারবে বলে জানিয়েছে ইসি। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষক সংস্থা বাড়াতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে পুনরায় আবেদনও আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহী সংস্থাগুলোকে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। প্রথম ধাপে নিবন্ধন না পাওয়া সংস্থাগুলোও চাইলে পুনরায় নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাই এবং আপত্তি না পরা ৬৬টি সংস্থা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন পেলো । অর্থাৎ তাদের মেয়াদকাল হচ্ছে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এবার নিবন্ধন পাওয়া সংস্থাগুলো হচ্ছেমানবাধিকার সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস), সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন, অগ্রদূত সংস্থা (এএস), অ্যাক্টিভিটি ফর রিফরমেশন অব বেসিক নিডস (আরবান), হাইলাইট ফাউন্ডেশন, মুভ ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, জানিপপ-জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ, ডিসঅ্যাবিলিটি ইনকুজিশন অ্যাক্টিভিটিস (দিয়া), আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস), আব্দুল মোমেন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এসডাপ, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, লুৎফর রহমান ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন (এলআরবি), সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যুব উন্নয়ন সংস্থা, শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে), বঞ্চিতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, এস কে কল্যাণী ফাউন্ডেশন, সোসাইটি ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব রুর্যাল পিপল (সার্প)

সেতু রুর্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসআরডিএস), সোসাইটি ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন (স্টার), রুর্যাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রাসা), ডেভেলপমেন্ট হেল্পিং কি (ডিএইচকে), তালতলা যুব উন্ন্নয়ন সংগঠন (টাইডা), স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশন (সেফ), বাঁচতে শেখা, ডপস ফাউন্ডেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (ভোসড), ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি), জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (জেমস)

ডেপ (ডেভেলপমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড পিস), বেসিক হিউম্যান রাইটস ভয়েস, সমাজ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে), রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা (রাস), ডেভেলপমেন্ট পার্টনার (ডিপি), গরীব উন্নয়ন সংস্থা (জিইউকে), সমাহার-মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (সাস), হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, ডেভেলপমেন্ট অব মহিলা সোসাইটি (ডিএমএস), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডিও), সোশ্যাল ইকুয়ালিটি ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট (সীড), ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেইজ অব হোপ (রিশ), সমন্বিত নারী উন্নয়ন সংস্থা (এস.এস.ইউ.এস)

পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা (রুডো), শিল্ড-সোসাইটি ফর হিউম্যান ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড লাস্টিং ডেভেলপমেন্ট, সেঁজুতি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সিডফ), এসো জাতি গড়ি (এজাগ), ওয়াসভা, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সাকো), ফোরাম ফোর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফএফডিএ), প্রকাশ গণকেন্দ্র, রুর্যাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রাউডো), সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (সীড), তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি-হিডস, রুর্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ, গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক), ইকো-কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশন, গণউন্নয়ন কেন্দ্র এবং এসো বাঁচতে শিখি (এবাস)

নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিতে নতুন করে ইসি’র আবেদন আহ্বান

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরও পর্যবেক্ষক নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাসমূহকে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত ফরমে সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর আবেদন জমা দিতে হবে। প্রথম ধাপে নিবন্ধন না পাওয়া পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো চাইলেই ইসির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন ফরম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখায় (কক্ষ নং-১০৫) এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট http://www.ecs.gov.bd/তে পাওয়া যাবে।

এবার ইসির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং পরে ১১টি সহ এবার মোট ২১০টি সংস্থা পর্যবেক্ষক হওয়ার আবেদন করে। গত আগস্ট প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ৬৮টি সংস্থার নাম উল্লেখ করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে আপত্তি আহ্বান করে সংস্থাটি। বেসরকারি এসব সংস্থার মধ্য থেকে মধ্য থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন তালিকায় স্থান পায়নি রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন রিহাফ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এদের মধ্যে দুটি সংস্থার নামের সঙ্গে অন্য সংস্থার নামের মিল থাকাসহ তাদের কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। সেসব শর্ত পূরণ করা হলে তাদেরও নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।

২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ওই সংস্থাগুলোর পাঁচ বছরের মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। 

পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদনের যোগ্যতা

পর্যবেক্ষক সংস্থাকে বাংলাদেশের কোনো আইনের অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে। গণতন্ত্র, সুশাসন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং যাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের সকল বিষয়সহ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার রয়েছে কেবল সেসকল বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। সংস্থাকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ হতে হবে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন লাভের জন্য আবেদনকৃত সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী এরূপ কোন ব্যক্তি যদি পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদনকারী কোনো সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদের বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হয়ে থাকেন, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন ওই সংস্থাকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন করা হবে না।

নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক এমন কোনো প্রতিষ্ঠান যার নামের সাথে জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের হুবহু মিল রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক এমন কোনো প্রতিষ্ঠান যার নামের সাথে আন্তর্জাতিক,আঞ্চলিক কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের হুবহু মিল থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক সংস্থা হতে লিখিত অনাপত্তিপত্র আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

নির্বাচন কমিশনে এর আগে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচন (জাতীয় সংসদ উপনির্বাচন বা স্থানীয় সরকারের যেকোন নির্বাচন) পর্যবেক্ষণ না করে থাকলে সেই সংস্থা নতুন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। তবে শর্ত থাকে যে, ২০১৮ সালের পূর্বে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা যারা ২০১৮ সালে নিবন্ধিত হতে পারেনি তাদের প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের মেয়াদ থাকাকালীন অনুষ্ঠিত যে কোন নির্বাচন (জাতীয় সংসদ, সংসদ উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার) পর্যবেক্ষণ করে থাকলে সেসকল প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রাপ্তির জন্য আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

ইসি কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। বিষয়টি জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে সংযোজন করা হয় এবং ইসি একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা তৈরি করে। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। এরমধ্যে ৭৫টি সংস্থার লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।



বিষয়: #



আর্কাইভ