শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
মঙ্গলবার ● ৭ নভেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » নিয়মরক্ষার ভোটে এমপি হলেন আরও দুজন
প্রচ্ছদ » জাতীয় » নিয়মরক্ষার ভোটে এমপি হলেন আরও দুজন
১৫২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৭ নভেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নিয়মরক্ষার ভোটে এমপি হলেন আরও দুজন

লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচন 

---

# নির্বাচিতরা এমপি’র মর্যাদা পাবেন পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত

# এমপির সুযোগ-সুবিধা পেলেও, পাচ্ছেন না কোন অধিবেশন

# দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা প্রার্থী হতে পারবেন


বিশেষ প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান নির্ধারিত ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হওয়ার পর গতকাল (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হলো একাদশ জাতীয় সংসদের আরও দুটি উপনির্বাচন। শূন্য হওয়া ওই আসন দুটি হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩। আর নির্বাচিতরা হলেন- গোলাম ফারুক পিংকু ও অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে এরকম সময়ে শূন্য আসনে ভোট অনুষ্ঠান নজিরবিহীন ঘটনা বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া বা পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত (দুই মাসেরও কম সময়) নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যরা এমপি’র মর্যাদা পাবেন। পরবর্তী সংসদের তফিসল ঘোষণার সঙ্গে এই উপনির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। তাই অন্যান্য এমপিদের মতো তাদেরও পরবর্তী সংসদ ভোটেও প্রার্থী হতে কোন বাধা থাকবে না। তবে এমপি প্রার্থী হলে তাদেরও আচরণবিধি মেনেই অংশ নিতে হবে প্রচারণায়।

এ বিষয়ে সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই এসব উপনির্বাচন করা প্রয়োজন। কারণ সংসদীয় আসন ৯০ দিনের বেশি শূন্য রাখা যাবে না। নির্বাচিতরা একাদশ সংসদের কার্যকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যের মর্যাদা পাবেন। একই সাথে অন্যান্য সংসদ সসদস্যদের মতোই এমপি’র মর্যাদা ও সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তফসিল ঘোষণার তাদের কেউ যদি এমপি প্রার্থী হন, তাহলে আচরণবিধি তাকেও মেনে চলতে হবে- সরকারি সুবিধা নিয়ে কোন প্রচারণা করতে পারবেন না। কারণ নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা চলতি নভেম্বরের মাঝামাঝিতেই পরববর্তী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। একই সংঙ্গ জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী, এই উপনির্বাচনে নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্য চলতি মাসে শপথ গ্রহণ করলে জানুয়ারির শুরুতেই তার মেয়াদ শেষ হবে। ফলে এই সংসদে তাদের তেমন ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। গত ২ নভেম্বর চলতি সংসদের অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছে’। 

তবে এরকম সময়ে উপনির্বাচন না করার ইসি’র নজিরও রয়েছে, তা মাত্র একবার। নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ওই বছরের ১৩ আগস্ট বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ এবং কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। কিন্তু তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ওই শূন্য আসনের উপনির্বাচন করেনি। সে সময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, ‘১৪ নভেম্বরের ( ২০১৮ সালের) মধ্যে কুড়িগ্রাম-২ আসনে উপনির্বাচন করতে হবে। কিন্তু ৩০ অক্টোবর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হবে। সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতিও পুরোদমে শুরু হবে। তাই সেখানে উপনির্বাচন করার মতো সময় নেই।’

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে সংসদীয় ওই আসন দুটি শূন্য হয়। এদিকে গত ২১ অক্টোবর সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পটুয়াখালী-১ আসনেও উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৬ নভেম্বর ওই আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।



বিষয়: #



আর্কাইভ