রবিবার ● ২৩ অক্টোবর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » জাতীয় পরিচয়পত্র ইসিতে রাখার পদক্ষেপ নিন: ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন
জাতীয় পরিচয়পত্র ইসিতে রাখার পদক্ষেপ নিন: ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন
# দাবি আদায়ে সিইসি’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান
# এনআইডি অন্যত্র গেলে নির্বাচনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে
বিশেষ প্রতিনিধি
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে না দিয়ে নিজেদের অধীনে রাখার দাবিতে পুনরায় স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এটি নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেয়া হলে নির্বাচনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে স্মারকললিপি জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. হাসানুজ্জামান। সিইসির কাছে স্মারকলিপি দেয়ার সময় অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাথে ইসি সচিবালয়, ইটিআই এবং এনআইডিসহ ঢাকা ও আশপাশের এলাকার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসির কাছে স্মারকলিপি দেয়ার পর বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সিইসিকে এনআইডির বিষয়ে যুক্তিযুক্ত স্মারকলিপি দিয়েছি। কমিশন এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় সাবেক সিইসি ও সচিবরা সকলেই একবাক্যে বলেছিলেন, এনআইডি ইসির অধীনে রাখা যুক্তিযুক্ত। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এনআইডি অন্যত্র চলে গেলে নির্বাচনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা ইভিএমের মাধ্যমে যে নির্বাচন করতে চাচ্ছি, সেখানে সরাসরি এনআইডি ব্যবহার হয়। আমাদের ডেটাবেজ অন্য কোথাও থেকে এলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।’ এ ব্যাপারে কমিশন থেকে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে হাসানুজ্জামান বলেন, সিইসি তাদের আশস্ত করেছেন দ্রুত সভা ডেকে কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করা হবে।
এর আগে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইসির উপ-সচিব রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এসআইডি বিষয়ে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে কমিশন থেকে দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে আগামী ২৭ অক্টোবর তারা সারাদেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। তারপরও যদি কমিশন কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আগামী ৮ নভেম্বর সারাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে হস্তান্তর করলে আলাদা ভোটার কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও বলেন, এনআইডির কর্তৃত্ব চলে গেলেও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কোন ক্ষতি হবে না বলে মনে করছে ইসি। কারণ এনআইডির ভিত্তিতে আমরা নির্বাচন করি না। আমরা নির্বাচন করি ভোটার তালিকার ভিত্তিতে। তবে ভোটার সার্ভার দেয়ার কোন সুযোগ তাদের নেই।
এরআগে কে এম নূরুল হুদার বিদায়ী কমিশনের কাছেও এ সংক্রান্ত একটি স্মারকললিপি জমা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। পরে বর্তমান কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়ালকে এর আগেও এক দফা স্মারকলিপি দেন তারা।
এদিকে এনআইডির জন্য নতুন আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এটি পাস হলেই এনআইডি নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে। আর জন্মের পরপরই এ দেশের সব নাগরিককে এনআইডি দেয়া হবে।
বিষয়: #এনআইডি নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে সিইসির কাছে স্মারকল