শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
রবিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » জানুয়ারির শুরুতে রংপুর সিটি’র নির্বাচন: ইসি আলমগীর
প্রচ্ছদ » জাতীয় » জানুয়ারির শুরুতে রংপুর সিটি’র নির্বাচন: ইসি আলমগীর
৩৬৪ বার পঠিত
রবিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জানুয়ারির শুরুতে রংপুর সিটি’র নির্বাচন: ইসি আলমগীর

---

বিশেষ প্রতিনিধি

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

ইসি আলমগীর আরও জানান, রংপুর সিটির নির্বাচনের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্ত হলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে কমিশন বৈঠকে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা হবে। আর অন্যান্য নির্বাচনের মতো রসিকেও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সে ব্যাপারে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

ইসি আলমগীর বলেন, সময় শেষ করে নির্বাচন করতে চাই না। একটু আগেই করতে চাই। ইভিএম বা সিসি ক্যামেরার বিষয়ে কমিশন সভায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। তবে সব সিটিতে ইভিএম, সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।  অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই আপত্তিকে গুরুত্ব দিই। তবে কোনটা সুবিধা সেটা আমলে নিই। সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় যে নির্বাচন আগামীতে হবে সেখানে ইভিএম, সিসি ক্যমেরা ব্যবহার করবো।

তিনি আরও বলেন, ‘ইসির রোডম্যাপে আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আছে। সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম ধরতে সহজ হবে। কারণ ভোটকেন্দ্রের বাইরের (অনিয়ম) সবাই দেখে। কিন্তু ভেতরেরটা তো সবাই দেখে না। ইভিএম বা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার না করার অনুরোধ রাখবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, যদি আমাদের কারিগরি সামর্থ্য হয় তবে কারও কথা শোনার সুযোগ নেই। ইভিএমের ক্ষেত্রেও আমাদের একই সিদ্ধান্ত।’

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

ইসি আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তার জন্য বাসা বাড়িতে, মার্কেটে, রাস্তায় আছে। এটার কারণ হলো অপারাধ কে করল তা সহজে ধরা। সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা সতর্ক থাকে। অন্যদিকে সবারই সক্ষমতা সীমিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, কমিশন কারোর সক্ষমতা অসীম নয়। সিসি ক্যামেরা থাকলে সবার জন্যই সহজ হয়।

ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে এই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট। আর রসিক সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির থেকে আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।

সর্বশেষ রংপুর সিটিতে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু কোন সিটির মেয়াদ ধরা হয় কমিটির প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।



বিষয়: #



আর্কাইভ