শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Swadeshvumi
শনিবার ● ৫ নভেম্বর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » গাইবান্ধার তদন্ত এখনো অসম্পূর্ণ, আরও অপেক্ষা করুন: সিইসি
প্রচ্ছদ » জাতীয় » গাইবান্ধার তদন্ত এখনো অসম্পূর্ণ, আরও অপেক্ষা করুন: সিইসি
২৩৯ বার পঠিত
শনিবার ● ৫ নভেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গাইবান্ধার তদন্ত এখনো অসম্পূর্ণ, আরও অপেক্ষা করুন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল

————

# প্রতিবেদনে তথ্য এসেছে ৫১ কেন্দ্রের, বাকি ৯৪ কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করুন

# ৭ দিনের মধ্যে কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ

# তদন্তে ওই ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

# ফরিদপুরের উপনির্বাচনে ভোটে অনিয়ম হয়নি

————

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৫১টি কেন্দ্রের অনিয়মের তথ্য ইসির হাতে এসে পৌঁছেছে। বাকি ৯৪ কেন্দ্রের তদন্ত শেষে ব্যবস্থা এবং ইসির সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তাই গাইবান্ধার নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনা বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরির জন্য তদন্ত কমিটিকে আরও এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। আর এ ইসির সিদ্ধান্ত জানতে গণমাধ্যকর্মীদের আরো এককটু অপেক্ষা করতে বলেছেন সিইসি।

গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব বলেন। সিইসি বলেন, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় আমরা খণ্ডিত মাত্র ৫১টি কেন্দ্রের প্রতিবেদন পেয়েছি, পুরোটার তদন্ত প্রতিবেদন দরকার। বাকি থাকা ৯৪ কেন্দ্রের ঘটনা পর্যবেক্ষণে আরও ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। তাই আরও একটু অপেক্ষা করুন।’ পুরো প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা কমিশন সভায় বিশ্লেষণের পর গাইবান্ধার বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলাকালে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় দুপুরের দিকে ভোট শেষ হওয়া দেড় ঘণ্টা আগে ভোট বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। সেসময় সিসি ক্যামেরায় পুরো আসনের এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য ধরা পড়ে। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনিয়মে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে ইসির যুগ্ম সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে (প্রশাসন ও অর্থ) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- ইসির যুগ্ম সচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী (সদস্য সচিব) এবং যুগ্ম সচিব মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস (সদস্য)। এছাড়া এই কমিটিকে কারিগরি কাজে সহায়তার জন্যে যুক্ত রয়েছেন ইসি সচিবালয়ের আইডিইএ-২ প্রকল্পের স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম।

তদন্তকালে কমিটি নির্বাচনে ভোট চলাকালে দায়িত্বে থাকা ৬২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। এরপর গত ২৭ অক্টোবর প্রায় ছয়শ’ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ইসির কাছে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ইসির কাছে সুপারিশ করা হয়। এরপর সিইসি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমরা তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছি, এটা সত্য। তবে রিপোর্ট নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হইনি এবং আমরা বসতে পারিনি। তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে আপনাদের যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেলে বসে ভোট পর্যবেক্ষণকালে সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা

ফরিদপুরের উপনির্বাচন প্রসঙ্গ

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফরিদপুর-২ আসনে উপ নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই উপ-নির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়ম দেখা যায়নি। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ফরিদপুরের উপনির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন।’ তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামুলক কম ছিলো বলে জানান তিনি।

এর আগে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের ভোট সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয় ইভিএমে। ভোটের পরিবেশ স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণে আসনটির সবকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ মিলিয়ে ১০৫২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সকাল থেকেই নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেলে বসে ভোট পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা।

এসময় সিইসি আরও বলেন, ‘যেটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সিসি ক্যামেরায় দেখলাম শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় একটা ইতিবাচক দিক রয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ভোট করা নতুন একটি সংযোজন। যেটা নিয়ন্ত্রণ ও ইলেকটোরাল গভার্নেন্সকে আরো বিস্তৃত করবে।’

সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হয় ফরিদপুর-২ আসন। জেলার নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭২ জন। এই সংসদীয় আসনের ১২৩টি ভোট কেন্দ্রের ৮০৬টি কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়।



বিষয়: #



আর্কাইভ