শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
রবিবার ● ৬ নভেম্বর ২০২২
প্রচ্ছদ » জাতীয় » প্রামাণ্যচিত্র ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’
প্রচ্ছদ » জাতীয় » প্রামাণ্যচিত্র ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’
৬৫৮ বার পঠিত
রবিবার ● ৬ নভেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রামাণ্যচিত্র ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’

‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ শামীম আল আমীনের নতুন প্রামাণ্যচিত্রের পোস্টার।

শামীম আল আমীনের নতুন প্রামাণ্যচিত্র

শাহনাজ পারভীন এলিস

‘একটি দেশের জন্য গান’ এর পর সাংবাদিক শামীম আল আমীন এবার নির্মাণ করছেন নতুন প্রামাণ্যচিত্র ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’।

নির্মাতা শামীম আল আমিন জানিয়েছেন, আগামী বছর ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে সামনে রেখে নিউইয়র্কে বর্ণাঢ্য একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রামাণ্যচিত্রটি মুক্তি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। পরে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানেও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শামীম আল আমিন সংবাদ সারাবেলাকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে নতুন এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের কাজ এগিয়ে গেছে বেশ খানিকটা। কবি নির্মলেন্দু গুণের অসাধারণ কবিতা ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ অবলম্বনে এটি নির্মিত হচ্ছে। প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করছেন নিউইয়র্কের সংস্কৃতিকর্মী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. প্রতাপ দাস।

এই প্রামাণ্যচিত্রে মূলত তুলে ধরা হবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং সেই পথ ধরে কীভাবে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলাম; সেই ইতিহাস। কাজটি করার আগে কবিতা ও এর শিরোনামটি ব্যবহারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কবি নির্মলেন্দু গুণের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে। তিনি কবিতাটির প্রেক্ষাপট ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরে একটি চমৎকার সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন; যা প্রামাণ্যচিত্রে তুলে ধরা হবে। এছাড়াও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জাতির জনককে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী ঘোষণা দেয়া গুরুত্বপূর্ণ নেতা তোফায়েল আহমেদ। কথা বলবেন ইতিহাসের বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনসহ আরও কয়েকজন। কবিতাটি আবৃত্তি করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন কিংবদন্তি নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর।

সঙ্গীত পরিচালনা করছেন অত্যন্ত জনপ্রিয় শিল্পী বাপ্পা মজুমদার। টাইটেল ও পোস্টার করেছেন শিল্পী মামুন হোসাইন। সহকারি পরিচালক হিসেবে থাকছেন সাংবাদিক পারভেজ রেজা। সহায়তা দিচ্ছেন অধ্যক্ষ রানা আহমেদ। আর পরামর্শক হিসেবে যুক্ত আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল। ক্যামেরা, গ্রাফিক্স এবং এডিটিংয়ে কাজ করছেন  ঢাকা ও নিউইয়র্কের গুরুত্বপূর্ণ অনেকে। ইতিহাসনির্ভর গুরুত্বপূর্ণ এই কাজে সবার সহায়তা চেয়েছেন নির্মাতা শামীম আল আমীন। এটি তার ইতিহাসনির্ভর দ্বিতীয় প্রাামাণ্যচিত্র।

এর আগে গত ২১ জুলাই ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অবলম্বনে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত শামীম আল আমিনের প্রামাণ্যচিত্র ‘একটি দেশের জন্য গান’ এর প্রথম প্রদর্শনী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর আগারগাঁও এর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সেই অনুষ্ঠানে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান অভিনেতা, সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবং এই প্রামাণ্যচিত্রে ভোকালিস্ট আসাদুজ্জামান নূর; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু।

আলোচনা পর্বে প্রামাণ্যচিত্র ‘একটি দেশের জন্য গান’ এর নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করেন বক্তারা। বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ যে ভূমিকা রেখেছিলো তা অনবদ্য। সেদিন বিদেশি বন্ধুরা এভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত এদেশের পাশে না দাঁড়াতে এই কনসার্টটি সফল করতে যে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন তা ঐতিহাসিক এক অধ্যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্করের অনুরোধে ঐতিহাসিক সেই কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন দুনিয়াজোড়া সাড়া জাগানো ব্যান্ডদল দ্য বিটলসখ্যাত জর্জ হ্যারিসন।

সেদিনের সেই চ্যারিটি শো এর আয়োজনকে ঘিরে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ নির্মাণ করেছেন লেখক ও সাংবাদিক শামীম আল আমিন। প্রামাণ্যচিত্রটির বাংলাদেশে প্রদর্শনীর বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাতা জানান, ‘১৯৭১ সালের ১ আগস্ট, রোববার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বিশ্বখ্যাত ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে সেই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সাড়া জাগানো সেই কনসার্টের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থী হওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। এছাড়া কনসার্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমতও তৈরি করতে চেয়েছিলেন আয়োজকরা। ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর ৫১ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে এই প্রদর্শনীটি করতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। পাশাপাশি একাত্তরে বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকটময় পরিস্থিতি বিদেশি বন্ধুদের অবদান তুলে ধরার এই কাজে যুক্ত থাকার সুযোগ পেয়ে একজন বাঙালি হিসেবে আমি গর্ব বোধ করছি।

প্রামাণ্যচিত্রটি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ কয়েকটি স্টেটে প্রদর্শিত হয়েছে। এর আগে চলতি ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সেন্সরবোর্ডের সনদপত্র পায় এই প্রামাণ্যচিত্র।  দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-এর ৫০ বছর পূর্তিতে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করে নিউইয়র্কের ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম নামে একটি সংগঠন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় প্রামাণ্যচিত্রটির ৪টি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে দর্শকের বিপুল ভালোবাসা পেয়েছে ‘একটি দেশের জন্য গান’।



বিষয়: #



আর্কাইভ