শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১
Swadeshvumi
রবিবার ● ১ জানুয়ারী ২০২৩
প্রচ্ছদ » জাতীয় » আওয়ামী লীগের ২০২২ সালটি কেমন ছিলো?
প্রচ্ছদ » জাতীয় » আওয়ামী লীগের ২০২২ সালটি কেমন ছিলো?
২৫৭ বার পঠিত
রবিবার ● ১ জানুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আওয়ামী লীগের ২০২২ সালটি কেমন ছিলো?

 ---

বহুমাত্রিক অর্জনসহ বছরজুড়ে ছিলো নির্বাচন আর সাংগঠনিক প্রস্তুতি

শাহনাজ পারভীন এলিস 

বিদায় নিয়েছে ২০২২ সাল। আর মাত্র একবছর পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই বছরজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দেশের রাজনীতি। সাংগঠনিক প্রস্তুতি দৃঢ় করতে সম্মেলন, সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি আর মাঠ দখলে রাখতে নানা কার্যক্রমে নিজেদের সরব উপস্থিতির জানান দিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী কর্মব্যস্ত সময় পার করেছেন এই দলের নেতাকর্মীরা।

বছর শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সাংগঠনিক সাফল্য দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলন। গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন। এতে নির্ধারণ হয় দলটির আগামী তিন বছর শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। এবারের সম্মেলনে দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সাধারণ সম্পাদক পদে হ্যাটট্রিক করে পুননির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। ১৯৮১ সালে ১৩তম সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি পদে আসা শেখ হাসিনা এদফায় ১০ম বারের মতো দলটির নেতৃত্ব দেবেন।

শেখ হাসিনা গেলো ৪১ ধরে দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। ২০১৬ সালের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক পদে আসা, বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো দলটি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। এতে ৩২ হাজার কাউন্সিরল ও ডেলিগেট ছাড়াও সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

চলতি বছরের শুরুতে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, শেষ সময়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে একের পর একে সম্মেলন এবং সভা-সেমিনার করে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা-পর্যায়ে চলছে একের পর এক সম্মেলন। সমান তালে চলছে প্রচার-প্রচারণাও।

দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় সম্প্রতি সভা-সমাবেশে সরাসরি যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের গণসমাবেশে তিনি সশরীরে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং নিজের দল আওয়ামী লীগের জন্য জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করেন।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা-পর্যায়ের সম্মেলন করেছে দলটি। এছাড়া বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল আওয়ামী লীগের নানা ঘটনা। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে গেলো ১০ ডিসেম্বর ঘিরে দেশব্যাপী বিরাজমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা। বলা যায়- টক অব দ্য কান্ট্রি। সেদিন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে শুরু থেকেই চলছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার যুক্তি-তর্ক। তারপর নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে সবশেষে  রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ১০ দফা দাবি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর বিএনপির কোন কর্মসূচি ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মধ্যেও উত্তেজনা দেখা যায়। দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেন। ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনেসহ রাজধানীর প্রতিটি মোড়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এর আগে চলতি বছরের ৭ মে ও ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া গত ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভা। এসব সভায় দলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান, জাতীয় কাউন্সিল, সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সভাগুলোতে সমসাময়িক বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়েও আলোচনা হয়।

এদিকে করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকায় প্রায় ২ বছর  পর সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৪ নভেম্বর যশোরে, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে মহাসমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত থাকায় প্রতিটি জনসভা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। তারপর গত ২৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং গত ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন এবং সবশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি বছরের শুরুতে আওয়ামী লীগের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিদ্রোহীদের দাপট! এ নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির অন্যতম কারণ ছিল বিদ্রোহীদের দাপট আর তৃণমূলের পাঠানো তালিকায় অনিয়ম। সবমিলিয়ে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছর। সেই নির্বাচন নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় ছিল আওয়ামী লীগ।

চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। ২৬ জেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ১৮ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

করোনার কারণে গত দুই বছর জেলা, উপজেলা কিংবা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, বর্ধিত সভা ও যৌথ সভা করতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। চলতি বছর ঢাকা, ফরিদপুর, দিনাজপুর, ভোলা, টাঙ্গাইল, জামালপুর, বরগুনা, কুমিল্লা মহানগর, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, পিরোজপুর, কুমিল্লা দক্ষিণ, জামালপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মাগুরা, নওগাঁ, নাটোর, মেহেরপুর, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শতাধিক উপজেলা ও বেশ কয়েকটি মহানগরের সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূলের এসব সম্মেলন ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সংবাদ সারাবেলাকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ২০টি খাত আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান থেকে সব উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে। কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। এটা বাংলাদেশের অর্জন। এছাড়া এবছরই দেশে চালু হয়েছে কর্ণফুলী টানেল, ১০০টি ব্রিজ হয়েছে, তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক জোন। বিশেষ এসব জোনে প্রায় এক কোটি মানুষের চাকরি হবে। সবশেষ এ বছরের শেষে ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বাঙালির দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের মেট্রোরেল। এসব অর্জন এই সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে শুধু দেশবাসী নয়, গোটা বিশ^বাসী প্রত্যক্ষ করেছে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ‘২০২২ সালে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপি একটি ষড়যন্ত্র করেছিল। জনগণ তা সফল করতে দেয়নি। বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত এবং গণতন্ত্রের প্রতি সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল একটি দল। নির্ধারিত সময়েই তাই দলের কাউন্সিল হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দলের তৃণমূল এখন আরও সুসংগঠিত হচ্ছে। বলা যায়, আওয়ামী লীগের জন্য এটি অর্জন ও সাফল্যের বছর।’

২০২২ সালকে বলা হয় মহামারি করোনার প্রভাবে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলার বছর। গেলো দু’বছর করোনার প্রভাবে দেশের অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব সৃষ্টি হয়েছিল, চলতি বছর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেটি আরও গভীর হয়। তারপরও এ বছরই বাঙালির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই সরকার। তা হলো-  স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের উদ্বোধন।


গত ২৫ জুন শনিবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে সেতুর মাওয়া প্রান্তে সুধি সমাবেশসহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানিকতায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মার দুই প্রান্ত যুক্ত হয় সড়কপথে। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সুধি সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন ৩ হাজার ৫০০ জনের মতো আমন্ত্রিত অতিথি। এতে বিদেশি রাষ্ট্রদূত, সরকারি আমলা, রাজনৈতিক নেতারা, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ নানা উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কর্মকর্তারা। জমকালো এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জাজিরা প্রান্তে আরও একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ, অর্থায়ন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সরে যাওয়া, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ সবকিছুর দাঁভাঙা জবাব দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই সরকার। একই সাথে নিজ দেশের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করে ইতিহাস রচনা করে তারা।


সবশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে পূরণ করা হয় বাঙালির দীর্ঘ দিনের আরেক স্বপ্নের বাস্তবায়ন। ওইদিন সকাল ১১টায় মেট্রোরেলের মূল পয়েন্ট উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি দিয়াবাড়ী স্টেশনের দ্বিতীয়তলায় উঠে কাউন্টারে গিয়ে নিজে ট্রেনের প্রথম টিকিট কাটেন এবং তিনতলার প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বাঁশিতে হুইসেল ও পতাকা উড়িয়ে প্রথম ট্রেন ছেড়ে দেয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর দ্বিতীয় ট্রেনে নির্ধারিত ২শ’ যাত্রীসহ ওই ট্রেনে ভ্রমণ যাত্রী হিসেবে উঠেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের বহনকারী ওই ট্রেনটি উত্তরা থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে থামে। পরদিন ২৯ ডিসেম্বও থেকে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন বা মেট্রোরেলে (উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত) ভ্রমণ করছেন সাধারণ যাত্রীরাও। এসব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সরকারের জন্য ২০২২ সালটি- অনবদ্য ও সাফল্যের বছর হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।



বিষয়: #



আর্কাইভ